একজন বিচারপতি অবসরে চলে গেলেও আমরা তাকে বিচাপতি বলেই ভাবতে অভ্যস্ত। তিনি কর্মকালীন সময়ে যেমন সম্মান পান অবসরে গেলেও তা অটুট থাকে জনমানুষের কাছে। পৃথিবীতে একজন বিচারপতির অবস্থান আল্লাহর পরেই। আল্লাহ যেমন ন্যায়পরায়ণ তাঁর পরেই একজন বিচারপতির ন্যায়পরায়ণতাও তাই জনমানুষের কাছে প্রত্যাশিত। পরকালের বিচারের ভার নিজের হাতে রেখে আল্লাহ ইহলোকের বিচারের ভার বিচারপতিগণের হাতে অর্পণ করেছেন। এটাই জনমানুষের ধারণা। পৃথিবীতে সৃষ্টিকর্তার প্রতিনিধি হিসাবেই তাঁরা ন্যায়-অন্যায় আর সত্য-মিথ্যা নির্ধারণের মহান দায়িত্বে আসীন। পৃথিবীজুড়ে সত্য আর ন্যায় প্রতিষ্ঠার দায়িত্বে থাকা বিচাপতিগণকে আমরা তাই সবচে নিরপেক্ষ ও শেষ ভরসাস্থল বলে মনে করি। একজন বিচারপতি শপথ গ্রহণের মাধমে অনুরাগ বিরাগ ও ব্যক্তিগত আবেগ বর্জন করেন। বিচারপতিগণের দায়িত্ব যেমন পৃথিবীতে সবচে বেশী তেমনি মর্যাদাও সবচে বেশী। তাইতো একজন অবসরে যাওয়া কর্মকর্তার মত একজন বিচাপতিকে নামের আগে (অবঃ) লেখতে হয় না পৃথিবীর কোথাও। তাই অবসরে গিয়েও একজন বিচাপতি বিচাপতিই থাকেন। সেজন্য অবশ্য তাঁদের অবসর জীবনটাও একজন বিচাপতির মর্যাদা রক্ষা করেই কাটাতে হয়। আমাদের বিচারপতিগণকে আমরা সেভাবেই জীবন কাটাতে দেখেছি।
আমরা আম জনতা জানি আপন মর্যাদা, ন্যায়পরায়ণতা ও স্পর্শকাতরতার জন্যই বিচারপতিগণের কোন পাবলিক লাইফ থাকে না। তাঁরা আমাদের মতন যখন তখন যত্রতত্র যাতায়াত করেন না। তাঁরা জন সম্পৃক্ততা,বিতর্ক, রাজনীতি ইত্যাদি শতভাগ এড়িয়ে চলেন তাঁদের মর্যাদাকে সমুন্নত রাখতে। আমরা কোন অবসর প্রাপ্ত বিচাপতিকে কোনদিন বেফাঁস মন্তব্য অথবা অযথা বিতর্কে জড়াতে দেখিনি। একজন বিচারপতির অবসরে গিয়ে অন্য পেশা গ্রহণের কোন রেওয়াজ নেই। তাদের দেখেছি অবসরে গিয়েও নিভৃত জীবন কাটাতে। সকল মানুষের জন্য নিভৃত জীবন অসম্ভব বা কষ্টকর হলেও একজন বিচারপতি সেই কষ্ট হাসিমুখে মেনে নেন তার মর্যাদা সমুন্নত রাখতে। সত্যি বলতে কি শপথ গ্রহণের পরে একজন বিচারপতি মানব থেকে অতি মানবে পরিণত হন। কারণ সত্য আর ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য তাঁকে অনেক মানবীয় প্রবণতা যেমন অনুরাগ-বিরাগ ক্রোধ,লোভ-লালসা,হিংসা-বিদ্বেষ ইত্যাদিসহ আপন মতের প্রতি পক্ষপাতিত¦ বিসর্জন দিতে হয়। এতসব মানবীয় প্রবণতা বিসর্জন দিলে একজন মানুষ সত্যি সত্যি অতিমানবে পরিণত হন। তাছাড়া একজন সাধারণ মানুষ হয়ে মানুষের চুলচেরা বিচার করাও অসম্ভব ব্যাপার। তাই একজন বিচাপতি কোন সাধারণ মানুষ নন। তিনি পৃথিবীতে সৃষ্টিকর্তার প্রতিনিধি। পৃথিবীতে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার সুমহান দায়িত্ব তাঁর আপন কাঁধে।
একজন সদ্য অবসরে যাওয়া বিচাপতি বিচাপতিগণের এতদিনকার ভাবগাম্ভির্যে হঠাৎ প্রচণ্ড আঘাত করলেন। তিনি সদ্য অবসরে যাওয়া আপিল বিভাগের সিনিয়র বিচাপতি জনাব শামছু দ্দিন চৌধুরী মানিক। অবসরে যাওয়ার আগে থেকেই তিনি মাননীয় প্রধান বিচারপতির (যিনি তাঁর বস) প্রতি অশালীন মনোভাব দেখাতে শুরু করেন। তিনি মাননীয় প্রধান বিচাপতির অভিসংশন চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে লিখিত আবেদন করলেন। যা ছিল বিশ^জুড়ে একটা নজিরবিহীন ঘটনা। তার আচরণে রাগ অনুরাগের প্রভাব স্পষ্ট হয়ে পড়ে। একজন বিচারপতির শপথ গ্রহণের পরে তার ব্যক্তিগত রাগ অনুরাগের প্রকাশমাত্রই তাঁর শপথ ভঙ্গ হয়। শপথ ভঙ্গ করেও তিনি যথারীতি বিচারকাজ চালিয়ে গেছেন। রায় দিয়েছেন, সেই রায়ে কারো ফাঁসি হয়েছে কারো খালাস হয়েছে। যিনি মহান বিচারকের দায়িত্বে থেকেই শপথ ভঙ্গ করতে পারেন তিনি কি বিচার করেছেন আল্লাহই জানেন!
মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের সিনিয়র বিচারপতি জনাব শামছুউদ্দিন চৌধুরী মানিক অবসরে যাওয়ার আগে মাননীয় প্রধান বিচারপতির একটি চিঠিকে কেন্দ্র করে অশালীন বিতণ্ডায় আত্মপ্রকাশ করলেন। মাননীয় প্রধান বিচারপতি মহোদয় সেই চিঠিতে আবসরে যাওয়ার আগেই তাঁকে সব রায় লেখা শেষ করার তাগিদ দিয়েছিলেন। চিঠি পেয়ে তিনি যেভাবে খ্যাপা প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন সেটা কোনমতেই বিচারপতিগণের ভাবমূর্তির সাথে মানানসই নয়। তিনি ব্যক্তিগত রাগ অনুরাগের বশে মাননীয় প্রধান বিচারপতি মহোদয়কে পাল্টা চিঠি দিয়ে চ্যালেঞ্জ জানালেন। তিনি অশালীনভাবে সবাইকে জানিয়ে দিলেন তিনি তাঁর বসকে মানেন না। তাঁর সেই আচরণ ছিল একেবারেই বিচাপতিগণের ভদ্রতা ও শালীনতার প্রচলিত রেওয়াজের পরিপন্থী। আমার জানা মতে এই প্রথম একজন বিচারপতি প্রচলিত রেওয়াজ ভাঙ্গলেন। শুধু রেওয়াজ ভঙ্গই নয় শুরু থেকেই তাঁর কথাবার্তা ছিল রেওয়াজ ভাঙ্গা বিপ্লবীর মত। একজন বিচারপতির কোনমতেই বিপ্লবী হওয়ার এক্তিয়ার নেই। তাঁর পেশাগত মর্যাদাই তাঁকে সেই এক্তিয়ার দেয় না।
অবসর গ্রহণের পর তিনি সরাসরি প্রচলিত রাজনৈতিক বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন। এবার বোঝা গেল তার বিপ্লবী হওয়ার আসল কারণ। এর পর তিনি লন্ডনে গিয়ে তাঁর উপর হামলার নাটক করলেন। সেখানে তিনি প্রেস কনফারেন্স করে তাঁর উপর হামলার জন্য বিএনপিকে দায়ী করলেন। সেখানে তিনি সরাসরি নিজেকে একজন আওয়ামী লীগ ক্যাডার হিসাবে উপস্থাপন করলেন। তিনি যে একজন পার্টিজান বিচারপতি ছিলেন তা আবারো প্রমাণ হলো। অবসরের পর পরই তাঁর থলের কালো বিড়াল বেড়িয়ে পড়লো। এবার সবার কাছে পরিস্কার হলো যে, তিনি বিচারপতি পদে থেকেও রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। এখন পূর্বে দেয়া অনেক রায়ের সুরের সাথে তাঁর বর্তমান রাজনৈতিক সুরের মিল পাওয়া যাচ্ছে।
আর সেই সুরের সাথে একটি ভয়ংকর সত্য উঁকি মারছে। সেই মহাসত্য হলো বিচাপতি পদে আসীন থেকেও তিনি রাজনীতি করেছেন, এখন যেমন করছেন। তিনি অনেক বিচার ও রায় দিয়েছেন রাজনৈতিক পক্ষদুষ্ট হয়ে। এতে তখনই তিনি তাঁর শপথ থেকে সরে গিয়ে তাঁর বিচাপতির পদ হারিয়েছেন এবং পরবর্তীতে তিনি অবৈধভাবে বিচারকাজ পরিচালনা করে আমাদের আশা ভরসার প্রতীক মহান সুপ্রীমকোর্টকে কলংকিত করেছেন।
মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের সিনিয়র বিচারপতির পদ থেকে অবসর নেওয়ার পরই জনাব চৌধুরী সম্মানিত বিচাপতিগণের প্রচলিত শিষ্টচারের রেওয়াজ ভঙ্গ করে একজন রাজনৈতিক ক্যাডার হিসাবে মাঠে নেমে পড়লেন। তিনি দলীয় প্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য নানা জায়গায় গরম গরম রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে বিএনপি ও তার প্রতিষ্ঠাতাকে গালিগালাজ শুরু করলেন। বিভিন্ন টিভি টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি যেভাবে কথা বলা শুরু করলেন তাতে মনে হয়েছে তার চেয়ে বড় আওয়ামী লীগার দেশে আর নেই। কেউ কেউ তাকে হঠাৎ নেতা বললেও তিনি আসলেই হঠাৎ নেতা নন। যারা তাঁর সম্পর্কে খোঁজ রাখেন তারা জানেন তিনি বিচাপতি থাকা কালেও এমন বিল্পবী নেতাই ছিলেন। অবশ্য তাঁর সেই নেতা সত্বাকে তিনি বিচারপতির লেবাস দিয়ে ঢেকে রেখেছিলেন। তাইতো বিভিন্ন মামলার রায়ে আমরা তাঁর সেই নেতা সত্বাকে বহুবার উঁকি মারতে দেখেছি। আসলে বিচার বিভাগে তিনি বিচাপতি হিসাবে নয়, ছিলেন একজন পার্টিজান এজেন্ট হিসাবে। বিচারপতির পবিত্র পদটাকে তিনি প্রত্যাশিত ন্যায় বিচারের জন্য ব্যবহার না করে করেছিলেন রাজনৈতিক ও ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থের হাতিয়ার হিসাবে। তাঁর এ অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য।
তাঁর বিচাপতি থাকাকালীন সময়ের কর্মকাণ্ড সন্দেহজনক মনে হলেও অবসরের পরে তা আর মনে হওয়ার পর্যায়ে নেই। তাঁর রাজনৈতিক অভিসন্ধি এখন দিনের আলোর চেয়েও পরিস্কার। সব দেখে এখন এটা মনে হওয়াই স্বাভাবিক যে তিনি তাঁর মহান পদের ক্ষমতাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেছেন কিছু পাওয়ার লোভেই। আর তাঁর সেই অবিবেচনা প্রসূত লোভের বলি হয়েছে আইন আদালত ও সাধারণ মানুষের ন্যায় বিচার পাওয়ার সাংবিধানিক অধিকার। তিনি শুরু থেকেই তাঁর পদের সাথে বেঈমানী করে এসেছেন। এই বেঈমানীর কারণে তিনি বহু আগেই তাঁর শপথ ভেঙ্গে ফেলেছেন। কারণ তিনি অনুরাগ বিরাগের প্রতি নিরাসক্ত থাকতে পারেননি।
সম্প্রতি আমাদের মাননীয় প্রধান বিচাপতি তাঁর দায়িত্ব গ্রহণের বর্ষপূর্তিতে সকল বিচারপতিগণকে অবসরে যাওয়ার আগেই রায় লেখা শেষ করার তাগিদ দিয়ে ট্যুইটারে একটি বার্তা পোস্ট করেন। আর এতে আবার জনাব চৌধুরী তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেন। আবার তাঁর সেই নেতা সত্বা জেগে উঠলো। তিনি মাননীয় প্রধান বিচাপতির বক্তব্যের অশালীন সমালোচনা শুরু করলেন তীব্র ভাষায়। তাঁর দাবী একজন বিচাপতি অবসরে যাওয়ার বহু পরেও মামলায় রায় লিখতে পারবেন। মূলত দুটি কারণে হৈচৈ শুরু করলেন জনাব চৌধুরী। এক. তাঁর হাতে এখনো বহু গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় রয়েছে যেগুলো এখনো লেখা হয়নি, দুই. এতে ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল হয়ে তাঁর রাজনৈতিক স্বার্থহানী হবে।
আগেই বলেছি বিচারপতিগণ মানুষ হলেও বিচারপতির দায়িত্বের কারণে তাঁরা অনেকটা অতিমানব ধরণের। কারণ রাগ অনুরাগ সম্পূর্ণ স্বাভাবিক মানবিক প্রবণতা হলেও একজন বিচাপতির তা থাকতে নেই। কাজেই তাঁরা সাধারণ মানব নন, তাঁরা তাই অতিমানব। সাধারণ মানুষের মর্যাদার চাইতেও তাঁদের মর্যাদা অনেক উঁচুতে।
পৃথিবীতে তাঁরা সৃষ্টিকর্তার প্রতিনিধি হয়ে ন্যায় বিচার সুনিশ্চিত করবেন-এমনটাই প্রত্যাশা জন মানুষের। আর জন মানুষের এই স্বাভাবিক প্রত্যাশার কাছে নিজেদের ভাবমূর্তি সমুজ্জল রাখা বিচাপতিগণেরই দায়িত্ব।
জনাব চৌধুরী বিচারপতি হিসাবে তাঁর ভাবমূর্তি সমুজ্জ্বল রাখতে সম্পুর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি বিচারাঙ্গনের পবিত্রতা বিনষ্ট করেছেন। তিনি একজন বিচাপতির প্রত্যাশিত শালীনতা ও শৃংখলাবোধ অতিক্রম করে সীমা লংঘণ করেছেন। তিনি মহান বিচারেকের পবিত্র আসনে বসে অনুরাগ বিরাগে দোল খেয়েছেন। না জানি তাঁর হাতে কত নিরপরাধ মানুষের ফাঁসি- যাবজ্জীবন হয়েছে, না জানি কত ভয়ংকর খুনী অপরাধী অপরাধ করেও ছাড়া পেয়েছে, এমন ভাবনার যৌক্তিক কারণ রয়েছে। যিনি বিচারপতি থেকেও শপথ ভাঙ্গতে পারেন তিনি সবই করতে পারেন। এমনটাই জন মানুষের ধারণা জনাব চৌধুরী সম্পর্কে। তার দ্বৈত নাগরিকত্বও সংবিধান পরিপন্থী।
জনাব চৌধুরীর চাঞ্চল্য ও চপলতা দেখে মনে হয় একজন পার্টিজান এজেন্ট হিসাবে তাঁর যা পাওয়ার কথা ছিল তিনি এখনো তা পাননি। তাই সেটা পাওয়ার জন্যই তিনি বেপরোয়া হয়ে অতি বিপ্লবী বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন কাউকে খুশী করতে। আমি সেই কাউকে বলছি দয়া করে জনাব চৌধুরীর পাওনা শোধ করে দিন তাড়াতাড়ি নইলে তিনি নিচে নামতে নামতে একদিন হয়তো মনুষ্যত্ব থেকে হারিয়ে যাবেন। এভাবে তিনি হারিয়ে গেলে একজন খলনায়কের বিচার থেকে প্রকৃতি ও ইতিহাস বঞ্চিত হবে।
জনাব চৌধুরী আপনাকে দেখলে আমাদের লজ্জা হয়, ঘৃণা হয়। আপনাকে দেখলে আমাদের করুণা হয়। আপনাকে দেখলে আমাদের বোকা মনে হয়, কারণ আপনি আজ যে মহান মর্যাদাকে পায়ে ঠেলে দিয়েছেন সেই মর্যাদা হাটে বাজারে বিক্রি হয় না। পৃথিবীতে শত শত কোটি মানুষ আছে কিন্তু বিচারপতি হওয়ার সৌভাগ্য সবার হয় না। আপনার সৌভাগ্য পায়ে ঠেলে দিয়ে আপনি ইতিহাসের খলনায়কে পরিণত হয়েছেন। বিনিময়ে আপনি যাই পান না কেন এতে আপনার ক্ষতি পোষাবে না। যেমন পোষায়নি ইতিহাসের আরেক খলনায়ক মীর জাফর আলী খানের।
একজন বিচারপতির যতদিন বিচারকার্যে থাকেন ততদিন তিনি শপথে আবদ্ধ থাকেন কিন্তু যখন তিনি অবসর গ্রহণ করেন তখন তিনি আর শপথে আবদ্ধ থাকেন না। তখন তিনি আর একজন সাধারণ নাগরিকের মাঝে আইনত কোন ফারাক থাকে না। তাই তিনি তখন কোন রায় দেয়ার অধিকার রাখেন না। তিনি জোর করে সেই অধিকার ভোগ করতে চাইলে তা হবে নিঃসন্দেহে আইন ও সংবিধান পরিপন্থী। মূলত জনাব চৌধুরীর অবসরে গিয়ে রায় লিখার ইচ্ছার পিছনে কোন বদমতলব রয়েছে বলেই মনে হয়। তাই বর্তমান মাননীয় প্রধান বিচাপতি মহোদয়ের অবসরের আগে রায় লিখার তাগিদ পেয়ে তিনি উন্মত্ত ষাড়ের মতই খেপে গেছেন। এমন ক্ষ্যাপামি একজন বিচাপতির বেলায় মারাত্মক অশোভন লাগে। বর্তমানে পত্র পত্রিকায় জনাব চৌধুরীর ছবিতে যে চেহারা দেখা যাচ্ছে সেই চেহারায় একজন খলনায়কের এক্সপ্রেশান খুব ভালো করেই ধরা পড়ে। আল্লাহই জানেন এ লোক বিচারের নামে কত অপকর্মই না করেছেন তাঁর বিচারপতি জীবনে?
নোট: নিবন্ধটি ৩১/০১/২০১৬ তারিখে লেখা হলেও তখন এটি প্রকাশ করা সম্ভব ছিলনা। তাই এখন অনুকূল সময়ে এটি প্রকাশ করছি।
Leave a Reply