* আতংকে ২০ পরিবার
* যেকোন সময়ে আবারো হামলার আশঙ্কা
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার রাজগাতী ইউনিয়নের বনাটী গাংঙ্গাইল পাড়া গ্রামের ২০টি পরিবারের ক্ষেতের পাকা ধান কেটে নিলো প্রতিপক্ষের লোকজন। প্রকাশ্যে ক্ষেতের পাকা ধান কেটে নেওয়ায় আতংকে দিন কাটাচ্ছে পরিবারগুলো।
গত কিছুদিন পূর্বে রানা নামে এক যুবক খুন হওয়ায় বর্তমানে পুরুষ শূন্য রয়েছে ওই এলাকাটি। খুনের ঘটনার পরপরই এলাকার বিভিন্ন বাড়ি-ঘরে হামলা-ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে। এদিকে বাড়ি-ঘরে পুরুষ শূন্য হওয়ায় মহিলারা তাদের শিশু সন্তানদের নিয়ে হামলা-নির্যাতন আতংকে দিন-যাপন করছে।
জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ যাবত বনাটী গাংঙ্গাইল পাড়া গ্রামের সোলাইমান ভুইয়া, সনজু ভুইয়া, শাহিন মিয়া, মোসলেম উদ্দিন ভূইয়া, বকুল মিয়া ও বুলু মিয়াসহ প্রায় ২০টি পরিবারের ১০ একর জমির পাকা ধান কেটে নিয়ে যাচ্ছে একই গ্রামের প্রতিপক্ষ মাসুদ মিয়া, রবিন মিয়া, রাজন মিয়া, রবিন, আজহারুল, নুর ইসলাম, তোহিদনুর, জামাল, নাজমুল, সোনা মিয়া, আ: হেকিম গং। এমনটি অভিযোগ করেছেন সোলাইমান ভুইয়া পরিবারের লোকজন। এছাড়া সরজমিন পরিদর্শনে জানাগেছে, প্রতিপক্ষ আ. হেকিম গং সোলাইমান ভুইয়া গংয়ের ক্ষেতের পাকা ধান জোরপূর্বক কেটে নিয়ে যায়। পরে বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালে নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল মজিদ ঘটনাস্থলে পুলিশ ফোর্সের উপস্থিতিতে সোলাইমান ভূইয়ার সাড়ে ৪ একর জমির পাকা ধানে কেটে বাড়িতে তুলে দেন। কিন্তু পুলিশ ফিরে আসার পরপরই আবারো আ: হেকিম ও রাজন গং তার লোকবল নিয়ে সোলাইমান ভূইয়ার অন্যান্য জমির পাকা ধান কেটে নিয়ে গেছে। এতে কেউ বাঁধা দিতে গেলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
এ বিষয়ে সোলাইমান ভূইয়ার পরিবারের সদস্য জহুরা খাতুন ও মিনা আক্তার জানান, গত ১০ এপ্রিল ও ১১ এপ্রিল সোলাইমান মিয়া গং তাদের নিজস্ব জমির পাকা ধান কেটে তপন ভূইয়ার পুকুর পাড়ে পাশে স্তুপ দিলে সেই ধানও অস্ত্রের মুখে রাজন গং জোরপূর্বক নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ তুলে ধরেন। স্থানীয় চৌকিদার আ: রাজ্জাক সরেজমিন বিষয়টির সত্যতা পেয়েছেন বলে জানান। বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালেও তাদের নিরাপত্তা জোরদার না করায় কঠিন হুমকির মুখে রয়েছে বলে উর্ধ্বতন পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে পরিবারগুলো।
নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল মজিদ বলেন, পুলিশ ফোর্স পাঠিয়ে সোলাইমান ভূইয়ার সাড়ে ৪ একর জমির পাকা ধান কেটে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ওই এলাকায় খুনের ঘটনার পরপরই সেখানে ১০দিন যাবত পুলিশ নিরাপত্তা দিয়েছে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোন ধরনের সহিংসতা বা হামলা-লুটপাট করে থাকে তবে অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এছাড়া নান্দাইলের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক চৌধুরী স্বপন, রাজগাতী ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন টুটন, সাংগঠনিক সম্পাদক জোসেফ ও ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক বাদল মিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ওই এলাকায় নতুন করে যাতে কোন ধরনের সহিংসতা না ঘটে সেজন্য আমরা ইউনিয়নবাসীও সচেতন আছি।
Leave a Reply