সারা দেশের ন্যায় কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে এবার জেঁকে বসেছে শীত। লাগাতার হাড় কাঁপানো কনকনে শীতের হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করেছে।
শীতের সাথে কুয়াশার দাপটও বেশ বেশি। দিনের বেলা সূর্যের দেখা মিললেও তার রেশ নেই তাপে। রাত বাড়ার সাথে সাথে কুয়াশায় ঢাকা পড়ে পুরো উপজেলা জুড়ে। শীত বেড়ে যাওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েছে সল্প আয়ের সাধারণ মানুষ। তাই উষ্ণতা পেতে তারা ঝুঁকেছেন পুরাতন কাপড়ের দোকানে। এতে করে পুরাতন কাপড় বিক্রির ধুম পড়েছে। পুরাতন কাপড়ের চাহিদা বাড়ায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে পুরাতন কাপুর বিক্রেতেরা।
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কুলিয়ারচর পৌর এলাকার কুলিয়ারচর শপিং কমপ্লেক্সের সামনে বৌ বাজারে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ফুটপাতে পুরাতন কাপড়ের মধ্যে সোয়েটার,জ্যাকেট, মোটা গেঞ্জি, ট্রাউজার,গরম টুপি, ছোট বড়দের ব্লেজার ও মহিলাদের সোয়েটার বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। দামও হাতের নাগালে।
পুরাতন কাপড় বিক্রেতারা বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার পুরাতন কাপড় বিক্রিতে ভালো সাড়া মিলছে। সামনে শীত বাড়লে আরও বেশি বিক্রি হবে।
উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের ক্রেতা আমেনা বেগম (৪৫) বলেন, মাত্র ৩০ টাকায় ছেলের জন্য কিনলাম একটি টাউজার, ৫০ টাকায় মেয়ের জন্য কিনলাম একটি সোয়েটার এবং ৭০ টাকায় নিজের জন্য কিনলাম একটি সোয়েটার। নতুন কাপড় কিনে ২-৩ হাজার টাকা খরচ করতে চাইনা। শীত কমানো দরকার তাই কিনলাম।
এছাড়া উপজেলার কাপড়ের মার্কেট গুলোতেও শীতবস্ত্রের কেনাবেচা জমজমাট দেখা গেছে। শীত যত বাড়বে, ক্রেতাদের আগমনও তত বাড়বে বলে জানান স্থানীয় কাপড় বিক্রেতারা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, এসব অস্থায়ী দোকান থেকে কম দামে পছন্দ মত কাপড় ক্রয় করা যায়। যাদের কাপড় কিনতে আলাদা বাজেট থাকে না তারা এখান থেকে সহজে পছন্দ মত কাপড় ক্রয় করতে পারেন। সাধারণত এ দোকান থেকে শীতের কাপড় ক্রয় করা খুবই সহজ।
Leave a Reply