ঘাগড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুখলেসুর রহমান ভূইঁয়ার ইন্দনে এক রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষে বিএনপির অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর সকাল ১০টার দিকে উপজেলার ঘাগড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে,  সাবেক মেম্বার ও আওয়ামীলীগ সমর্থক খোকন এবং বতর্মান ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার ও আওয়ামীলীগ সমর্থক রুবেল এবং তাদের সমর্থিত লোকেরা ইউনিয়ন  বিএনপির সাবেক সভাপতি শাহজাহান মোমেনীর লোকদের উপর  অতর্কিত হামলা চালালে এতে অন্তত ২০ জন আহত ও শাহজাহান মোমেনী পক্ষের মাহাবুলের দোকান ভাংচুর হয়। আহতদের মধ্যে ৪জন কে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হসপিটালে এবং বাকিদেরকে কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এতে শাহজাহান মোমেনী পক্ষের ১০ থেকে ১২ জন ও সাবেক মেম্বার খোকনের পক্ষের ৭ থেকে ৮ জন আহত হয়েছেন। 

এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মুখলেসুর রহমান ভূইঁয়া কে ফোন করলে উনার ফোন নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।

সরজমিনে দেখা যায়, শাহজাহান মোমেনী পক্ষের তফসির নামে এক কিশোরকে আশংকাজনক অবস্থায় শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।

এলাকা সূত্রে জানা যায়,  আওয়ামীলীগ আমল থেকেই এলাকায় দলীয় প্রভাবকে পুজিঁ করে সাবেক মেম্বার খোকন ও তার ভাই সুজন এবং তার আত্মীয়স্বজন ও দলীয় লোকেরা শাহজাহান মোমেনীর লোকদের উপর হামলা ও অসংখ্য মিথ্যা মামলা করে আসছে।

আরো জানা-যায় যে গত ৬ই নভেম্বর দিবাগত রাতে কিশোরগঞ্জ জেলার ঐতিহাসিক শহীদী মসজিদের খতিব মাওলানা শফিকুর রহমান জালালাবাদী দুই পক্ষের বিরোধ মিটাতে  ওই এলাকার শাহজাহান  মোমেনী ও তার ভাই মাওলানা শেরজাহান মোমেনী ও তাদের বিরোধী পক্ষের খোকন মেম্বারের দলের কান্দাপাড়ার কিছু লোককে ডেকে এনে উভয় পক্ষকে আলোচনার মাধ্যমে আপোষ মিমাংসার চেষ্টা চালান, অতঃপর উভয় পক্ষ কোলাকুলি করে মিষ্টিমুখ করে বিদায় নেন।

ঘাগড়া গ্রামের বাজারহাটীর মাহাবুল বলেন গত ৬ই নভেম্বর দিবাগত রাতে আপোষ মিমাংসাকে ভেঙ্গে দেওয়ার উদ্দেশ্যে সাবেক চেয়ারম্যান মুখলেসুর রহমান ভূইঁয়া ও সাবেক মেম্বার খোকন তাদের দলীয় লোকদের কে দিয়ে এই হামলাটি চালায়, তিনি আরো বলেন  আগামী ১০ই নভেম্বর খোকন মেম্বার ও তার দলের বাকি সকল সদস্যেরদের মধ্যেও আপোষ মিমাংসায় বসার কথা ছিল।  

এলাকা সূত্রে আরো জানা-যায়, ঘটনার দিন ভিন্ন একটি মামলার হাজিরা দেয়ার জন্য শাহজাহান মোমেনী ও তার পরিবারের সকল সদ‍স্যগণ কিশোরগঞ্জ জেলা জজকোর্টে উপস্থিত ছিলেন।