1. admin@bdchannel4.com : 𝐁𝐃 𝐂𝐡𝐚𝐧𝐧𝐞𝐥 𝟒 :
সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ০২:৪৫ অপরাহ্ন

নান্দাইলে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণে অনিয়মের সংবাদ প্রকাশের পর পুন: মেরামত

শহিদুল ইসলাম পিয়ারুল, স্টাফ রিপোর্টার, নান্দাইল (ময়মনসিংহ)
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন, ২০২৪
  • ৯৯ বার পড়া হয়েছে

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীন ব্যারাক প্রতিস্থাপনে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর সেগুলো পুনরায় মেরামত করা হচ্ছে। গত ১১ জুন উদ্বোধনের পরদিন বুধবার (১২ জুন) উপজেলার বারোপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে গিয়ে উপজেলার সহকারি কমিশনারের (ভূমি) তদারকিতে ঘরগুলোতে পুনরায় মেরামত কাজ করতে দেখা গেছে। কিন্তু এর আগে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অরুণ কৃষ্ণ পাল পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদটি মিথ্যা এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন।

নান্দাইল উপজেলায় ২০০১ সালে নির্মিত চর মহেষকুড়া, বারোপাড়া, মেরাকোনা ও ভাটি পাঁচানী গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্প রয়েছে। প্রকল্পে বেশকিছু টিনের ঘর বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। প্রধানমন্ত্রী সারা দেশের মত নান্দাইলের আবাসন প্রকল্পের ঘরগুলোর জায়গায় নুতন করে আধাপাকা ঘর নিমার্নের নির্দেশ দেন। সে নির্দেশনা অনুযায়ী নান্দাইল উপজেলায় চর মহেষকুড়া আবাসন প্রকল্পে ১০৯ টি মেরাকোনায় ৫৪ টি বারোপাড়ায় ১৯ টি সহ মোট ১৮২ টি ঘর তৈরী করা হয়। এ কাজের জন্য বরাদ্ধ করা হয় ৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। সে হিসেবে প্রতিটি ঘরের জন্য বরাদ্ধ হয় ৩ লাখ ৪ হাজার ৫ শত টাকা। মালামাল পরিবহন খাতেও বরাদ্ধ রয়েছে ৫ হাজার টাকা করে।

উক্ত ঘর নির্মাণের কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)কে প্রধান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) কে সদস্য সচিব, উপজেলা প্রকৌশলী এবং সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানকে সদস্য করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়।

বুধবার, ১২ জুন দুপুরে উপজেলার বারোপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে গিয়ে দেখা যায় সেখানে একটি ঘরের বারান্দার নিন্মমানের কাঠ পরিবর্তন করে নতুন কাঠ লাগাচ্ছেন মিস্ত্রিরা। কাছেই একটি চেয়ারে বসে কাজ তদারকি করছেন উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফয়জুর রহমান।

যে ঘরটিতে পুনরায় কাজ করা হচ্ছে সে ঘরের মালিক আব্দুল মতিন জানান, ভাঙ্গা ও খারাপ কাঠগুলো বদলানো হচ্ছে। পিছনে থাকা অন্য একটি ঘরের মালিক মোহাম্মদ আলী ও তার স্ত্রী রেজিয়া জানান, তাদের ঘরের ভিতর পানি পড়ত সেটি আগের দিন ঠিক করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাসিন্দারা জানান, গত দুদিন ধরে সেখানে কি কারণে যেন কর্মকর্তাদের দৌড়ঝাঁপ বেড়ে গেছে।

জানতে চাইলে সেখানে কাজ তদারকিতে থাকা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফয়জুর রহমার জানান, কিছু কিছু কাজ বাকি ছিল সেগুলো করে দেওয়া হচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: বাংলাদেশ হোস্টিং