গ্রীষ্মে প্রচণ্ড গরমে পথচারীরা যখন ক্লান্ত ঠিক তখন লাল আভার মিষ্টি চাহনিতে প্রশান্তির ছায়ায় যেন বিমোহিত আভায় প্রাণ জুড়িয়ে দেয় কৃষ্ণচূড়ার ফুলে। দূর থেকে দেখলে মনে হবে যেন সবুজের বুকে লালের আভায় ছেয়ে গেছে চারিদিকে।
পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর গ্রীষ্মকালীন গাছের মধ্যে অন্যতম হলো কৃষ্ণচূড়ার গাছ। কৃষ্ণচূড়া তার লাল রাঙ্গা ফুলের জন্য বেশ আকর্ষণীয়। গ্রীষ্মকালের সবচেয়ে দুর্দান্ত গাছের মধ্যে কৃষ্ণচূড়া অন্যতম একটি ফুলগাছ।
কৃষ্ণচূড়ার ফুল তার সৌন্দর্যের বার্তা জানান দেয় যখন প্রকৃতি প্রখর উত্তাপ ছড়ায়। আপন মহিমায় নিজেকে মেলে ধরে প্রকৃতিতে। তখন যে কারো মন-প্রাণ আর চোখে এনে দেয় মুগ্ধতা।
সরেজমিনে মঙ্গলবার, ১৪ মে দুপুরে জেলা শহরের আখড়াবাজার ব্রিজ সংলগ্ন শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম চত্বরে গিয়ে দেখা যায় কৃষ্ণচূড়ার গাছের ডালে ডালে লাল ফুল ঝুলছে, ঝিরিঝিরি পাতার মাঝে বের হয়েছে ফুল। আর সেই ফুল মন কেড়ে নিচ্ছে পথচারী আর স্থানীয় প্রকৃতি প্রেমীদের।শস্য-শ্যামলা আর সবুজে ঘেরা বাংলার রূপ, এই রূপকে আরও নতুন মহিমায় ছড়িয়ে দিচ্ছে কৃষ্ণচূড়ার গাছ। বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রীসহ রাস্তায় হেঁটে যাওয়া মানুষ দাঁড়িয়ে উপভোগ করছেন কৃষ্ণচূড়ার ছড়িয়ে দেওয়া সৌন্দর্য। জেলা শহর সহ বিভিন্ন উপজেলার অনেক স্থানে কৃষ্ণচূড়া গাছের দেখা মিলে।
কথা হয় পথচারী রিপনের সাথে তিনি বলেন,চারদিকে তাপদাহ চলছে, গরমে অশান্তি লাগলেও এরমধ্যে কিছু সৌন্দর্য আমাদের মুগ্ধ করে যেমন কৃষ্ণচূড়ার ফুল। দূর থেকে সবুজের মধ্যে লাল দেখা যায় আবার কাছে আসলে লাল রঙের ছড়াছড়িতে আরো বেশি ভালো লাগে। রাস্তার চারদিকে বেশি বেশি কৃষ্ণচূড়ার গাছ লাগালে আরো বেশি ভালো লাগবে।
গাছতলায় আড্ডারত নাজমুল বলেন, জেলা শহরের সৈয়দ নজরুল চত্বর এবং গুরুদয়াল সরকারি কলেজের সামনে গেলেই দেখা মিলে কৃষ্ণচূড়া গাছের। যতবার কৃষ্ণচূড়া গাছ দেখতে পাই তাকিয়ে থাকি, কারণ আলাদা সৌন্দর্য দেখতে পাই কৃষ্ণচূড়া ফুলে। ক্ষনিকের জন্য হলেও মনে প্রশান্তি পায়।
সৈয়দ নজরুল ইসলাম চত্বরে আরো কথা হয় আড্ডারত প্রকৃতি প্রেমী আজিজুল হক কামালের সঙ্গে তিনি বলেন, গরমের প্রচণ্ড তাপে লুকায়িত সৌন্দর্য ফুটে তুলে কৃষ্ণচূড়ার ফুল।গা ছ যেমন পথিককে হাতছাড়া দেয় আবার আমাদের সবাইকে অক্সিজেনও দেয় তাই বেশি বেশি লাছ লাগানো প্রয়োজন। রাস্তার পাশে নানারকম ঔষধি গাছ থেকে শুরু করে সৌন্দর্য বর্ধনে চারা রোপণ করা জরুরী। রোদের সময় প্রকৃতি যেমন ঠাণ্ডা থাকবে ওপরদিকে প্রাকৃতিক ভারসাম্যও রক্ষা পাবে।
Leave a Reply