আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ায় দল থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেছে বিএনপি নেতা নাজমুল আলমকে।
তিনি কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক এবং সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকের প্রার্থী।
বুধবার, ২৪ এপ্রিল দলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়।
কারণ দর্শানোর নোটিশে বলা হয়,গত ১৫ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিএনপি’র নেতা হিসেবে আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আপনার এহেন মনোবৃত্তি সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী এবং দলের প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা। সুতরাং দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জালিয়াতির নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) বা অন্যকোন মাধ্যমে পত্রপ্রাপ্তির কিংবা ফোনে অবহিত হওয়ার ৪৮ (আটচল্লিশ) ঘন্টার মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয় বরাবরে নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
তবে বিএনপি তো নাজমুল আলমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করলেও তিনি নির্বাচন করবেন বলে বিডিচ্যানেল ফোরকে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক নাজমুল আলম বলেন,আমি নির্বাচন করবো।আমার সিদ্ধান্তে আমি অটল।আশা করি জনগণের সমর্থন নিয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী হবো।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম বলেন,দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করার কোন সুযোগ নেই। কেউ নির্বাচন করতে চাইলে দল তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ছিলো ১৭ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ছিলো ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ হয় ২৩ এপ্রিল ও ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৮ মে।
Leave a Reply