শোলাকিয়া পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিবছরের ন্যয় এবারও বেশ আড়ম্বরের সাথে আয়োজন করেছে পিঠা উৎসবের ৷ সেখানে বিদ্যালয়ের ছাত্রী-শিক্ষক ও অভিভাবকদের তৈরিকৃত নানা রকমের পিঠা প্রদর্শন ও বিক্রি করা হয় ৷
শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে এ পিঠা উৎসব চলে বিকেল পর্যন্ত।
এবারের পিঠা উৎসবের আয়োজক বিদ্যালয় কর্ত্পৃক্ষ অত্যন্ত দক্ষতার সাথে কাজটা সম্পন্ন করেছে, যা প্রশংসার দাবিদার ৷ এ বিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি আয়োজনই এলাকাবাসীর মন কাড়ে ৷ এখানে আয়োজনের প্রতিটি অনুষ্ঠান দেখতে এলাকার সংস্কৃতিমনা মানুষগুলোর উপচে পড়া ভীড় সবসময় পরিলক্ষিত হয় ৷এবারও তার ব্যতিক্রম ছিলেনা ৷
বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ উম্মুন ওয়ারা শারমিনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী পর্বে উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ সরকারি আদর্শ শিশু বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হোসনে আরা ডলি,কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্র দলের সাবেক সভাপতি তারেকুজ্জামান পার্ণেল,সমাজ সেবক নাজিম আহমেদ গোলাপ,সাংবাদিক ও কলামিস্ট সাদেক আহমেদ, কিশোরগঞ্জ রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ওমর ফারুক খান,সিটি কিন্ডার গার্টেন এর অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন আহমেদ,বিদ্যালয়ের পরিচালক আনোয়ার হোসেন ও নাসিরুদ্দীন রতন প্রমুখ।
অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুস্মিতা।
বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ উম্মুন ওয়ারা শারমিন বলেন নানা রকম বিদেশি খাবারের প্রাচুর্য্যের কারণে নতুন প্রজন্মের শহুরে নাগরিকরা অনেকেই অনেক পিঠা চেনে না বা এর আসল স্বাদ পায় না ৷আজ বাজারে কেক, প্যাটিস,পিৎজাসহ বাজারজুড়ে ফাস্টফুডের দাপট। নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা পিঠে-পুলির স্বাদ ভুলতে বসেছে। বাজারে গিয়েই দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে তেলে ভাজা চপ, বেগুনি খাওয়ার দৃশ্যই এখন পরিচিত। পিঠা বিষয়টা যেন বেশির ভাগ সময়ই অপরিচিত থাকে নতুন প্রজন্মের কাছে। আজকাল অনেক তরুণী ও বধ‚দের অনেকেই পিঠে-পুলি ও পাটিসাপটা কীভাবে তৈরি করতে হয় তা শেখেইনি । তবে বিষয়টা হলো পিঠা হলো আমাদের সংস্কৃতির একটা অংশ। আমরা চাইলেও সে অংশকে আমাদের সংস্কৃতি থেকে আলাদা করতে পারব না।
Leave a Reply