1. admin@bdchannel4.com : 𝐁𝐃 𝐂𝐡𝐚𝐧𝐧𝐞𝐥 𝟒 :
সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৪৪ অপরাহ্ন

হোসেনপুরের বালুচরে সবুজ ফসলের ঝিলিক

স্টাফ রিপোর্টার, হোসেনপুর, কিশোরগঞ্জ।।
  • প্রকাশিত: রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৩৩ বার পড়া হয়েছে

 

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে ব্রহ্মপুত্র ও আশেপাশের নদ-নদীর অববাহিকায় চরাঞ্চলের কৃষকরা আধুনিক প্রযুক্তি ও উন্নত বীজের ব্যবহার করে চাষাবাদ করছেন। চিকচিক বালুময় জমিতে সোনার ফসল ফলিয়ে তাদের জীবিকা নির্বাহ করছেন। সনাতন চাষাবাদ পদ্ধতির উপর নির্ভরশীল চরের খেটে খাওয়া মানুষগুলো উন্নত ও আধুনিক ব্যবস্থা প্রয়োগের মাধ্যমে কৃষির ব্যাপক উন্নয়নের স্বপ্ন দেখছেন।

উপজেলার চরবিশ্বনাথ,সাহেবের চর, চরকাটিহারী গ্রামের মুজিবুর রহমান, সোহেল,খোকনসহ অনেকেই জানান, শহর থেকে উন্নতমানের বীজ যোগাড় করতে না পারায় আধুনিক পদ্ধতি না জানায় চরের মাটিতে ফলনও ভালো হতো না। কিন্তু বর্তমানে সেচের ব্যবস্থা থাকায় উন্নত জাতের বীজ ও প্রযুক্তির পাশাপাশি উন্নত জাতের ভূট্টা, গম,সরিষা, সূর্যমুখী, চিনাবাদাম, টমেটো, মসুর ডাল, খেসারি ডাল, মুগ ডাল, মরিচ, পেঁয়াজ চাষ করা হচ্ছে। এখন মিষ্টি কুমড়া, লাউ, ভুট্টাসহ উন্নত জাতের নানা ধরনের ফসল ও সবজি উৎপাদন করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। চরের জমিতে বিভিন্ন ফসল চাষের পাশাপাশি গরু, ছাগল ভেড়া, মুরগি পালনে এগিয়ে এসেছেন চরবাসী।

চরাঞ্চলের কৃষকদের মতে, চরাঞ্চলের জমি অসমতল ও বালির পরিমাণ বেশি হওয়ায় ইরি-বোরোর পরিবর্তে ছয়-সাত ধরনের ফসল চাষ করা যায়। চরের জমিতে আখ চাষের পর লাল শাক, পাট, কলমি শাক চাষ করা যায়। এসব সবজি রোপণের ১৫ দিন পর বাদাম, মরিচ, ঢেঁড়স ও পুঁইশাকের বীজ বপন করা যায়। এক মাসের মধ্যে সবজি বাজারে বিক্রি করা সম্ভব হয়। সব মিলিয়ে চরাঞ্চলে বিশেষত সবজি উৎপাদনে বিরাট সুযোগ রয়েছে।

উপজেলার সিদলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম জানান, প্রচলিত চাষাবাদ পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে আধুনিক প্রযুক্তি ও উন্নত মানের বীজ ব্যবহার করে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে টিকে থেকে চরাঞ্চলের মানুষ এখন স্বাবলম্বী হচ্ছে। নিজেদের বেঁচে থাকার তাগিদে বালুময় চরাঞ্চলে কৃষি ক্ষেত্রে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষির বিপ্লব ঘটিয়ে হোসেনপুরে আর্থসামাজিক ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখছে। 

হোসেনপুরে ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় চরাঞ্চলের কৃষকরা জানান, আগের চরাঞ্চলের কুচকুচে বালুময় জমিতে ফসল চাষ করে প্রকৃতিগতভাবে যা ফলন হতো তা দিয়ে কোনো মতে জীবিকা নির্বাহ করতে হতো কিন্তু বর্তমানের সেচের ব্যবস্থা থাকায় উন্নত জাতের ধানের পাশাপাশি উন্নত জাতের ভুট্টা, গম, সরিষা, টমেটো চাষ করা হয়েছে। এতে ফলনও অনেক ভালো হওয়ায় চরাঞ্চলের কৃষকরা তাদের দুঃখ কষ্টের দিনগুলো পেছনে ফেলে আধুনিক চাষাবাদ ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছে।নতুন ধরনের প্রযুক্তি ও চাষাবাদ প্রয়োগ করে উচ্চফলনশীল জাতের ফসল উৎপাদন করছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ একেএম শাহ জাহান কবির জানান, চরাঞ্চলের কৃষি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। সার্বক্ষণিক কৃষি অফিস তাদের পাশে আছে। শাক সবজি চাষে উন্নত বীজ ও প্রযুক্তি ফলন বৃদ্ধি করেছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: বাংলাদেশ হোস্টিং