
কিশোরগঞ্জে পাকুন্দিয়ায় পৌর সভা হাজী মো. মাছিম উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নামে মিথ্যা অপবাদ ও সঠিক তথ্য উদঘাটন না করে মনগড়া ভুল প্রতিবেদন প্রকাশ করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী ।
শুক্রবার, ১৪ জুন দুপুরে ভুক্তভোগী হাজী মো. মাছিম উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো, নুরুল আফসার পাকুন্দিয়া প্রেসক্লাবে কার্যালয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
নুরুল আফসার বলেন পাকুন্দিয়া পৌর সদরে হাজী মো. মাছিম উদ্দিন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৯০সালে ৫২ শতাংশ জমিতে স্থাপিত হয়। ২৯ শতাংশ জমি হাজী মো. মাছিম উদ্দিনের বড় ভাই হাজী মো. হাছিম উদ্দিন এবং ২৩ শতাংশ শিক্ষকদের দেওয়া ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে মো. জিল্লুর রহমান দান করেন। পরে ১৯৯৪ সালে রেজিষ্ট্রেশন প্রাপ্ত হয় ২০১৩ সালে জাতীয়করণ হয়। উক্ত ভূমির উপর দিয়ে বাইপাস রাস্তা হওয়ায় বিদ্যালয়ে দেওয়া দলিল গোপনে নামজারী বাতিল করে জিল্লুর রহমান জালিয়াতির মাধ্যমে অধিগ্রহণের পর ১ কোটি ৭৬ লাখ ২৭ হাজার ৭১৯ হাজার টাকা উত্তোলন করে। স্কুল কমিটির সভাপতি বিষয়টি জানতে পেরে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে মোকদ্দমা রুজু হয়, এবং রায়ের আদেশে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে আত্মসাৎ করা সাকুল্য টাকা সরকারের কোষাগারে জমা দানের জন্য আদেশ দেয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আত্মসাতকারী টাকা ফেরত না দেওয়ার জন্য জিল্লুর রহমান গং আমার বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপবাদ, অপপ্রচার, মিথ্যাচার ছড়িয়ে স্বার্থকেন্দ্রিক কিছু সাংবাদিকদের নিয়ে এসে মনগড়া প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
আমাদের বিরুদ্ধে ৯ জুন বেলা ১২ টায় কুচক্রী মহল জিল্লুর রহমান তার ছেলে কাওছার ও ভাতিজা রাকিব চাচাতো ভাই জালালসহ ৬-৭ জন ব্যক্তি ৪ সাংবাদিকসহ অফিসে কক্ষে প্রবেশ করে সকল শিক্ষক জিম্মি করে । পরবর্তীতে আনলাইন নিউজ পোর্টালে কিছু মিথ্যা প্ররোচনায় কিছু ব্যক্তি স্বার্থকেন্দ্রিক সাংবাদিক ভাইয়েরা আমাদের বিরুদ্ধে মনগড়া সংবাদ পরিবেশন করেন। যা আমার দৃষ্টিগোচর হয়। উক্ত সংবাদের পরিবেশনের ভিক্তিতে আমি প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
সেই সাথে সাংবাদিক ভাইদের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনাটি তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রধান শিক্ষক নুরুল আফসার, সভাপতি পাকুন্দিয়া পৌর ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহমুদুল হাসান, সহকারি শিক্ষিকা হুসনে আরা, কানিজ ফাতিমা বেলি,জয়নুল আবেদিন সহ জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকগণ।
Leave a Reply