ফিলিস্তিন জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ চাইবে এবং সদস্য দেশগুলোকে তাদের সদস্যপদ প্রাপ্তিকে স্বাগত জানিয়ে একটি বিবৃতিতে স্বাক্ষর করতে বলবে।
বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘে নিযুক্ত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মনসুর নিউইয়র্কে গণমাধ্যমকে একথা বলেছেন।
তিনি বলেন, স্বাধীন ফিলিস্তিনের জাতিসংঘে পূর্ণ সদস্যপদের দাবীকে আমরা জোরদার করবো এবং বিশ্বসম্প্রদায়কে আমাদের দাবীর প্রতি সমর্থন জানাতে আহ্বান জানাবো। আমরা আমাদের প্রতি সকল দেশকে সহানভূতিশীল হতে বলবো এবং এ সংক্রান্ত একটি যুক্তবিবৃতিতে তাদেরকে সই করতে আবেদন জানাবো। আমরা বিশ্বসম্প্রদায়কে আমাদের হয়ে প্রস্তাবটি জাতিসংঘে জমা দিতে আকুল আবেদন জানাবো।
“আমরা এই আলোচনাগুলিকে আরও জোরদার করব এবং আমরা বিভিন্ন জিনিস ব্যবহার করব, যার মধ্যে আমাদের কাছে একটি বিবৃতি থাকতে পারে এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের সদস্যপদে প্রবেশকে স্বাগত জানাতে এবং সমর্থন করার জন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলির কাছ থেকে স্বাক্ষরের আবেদন থাকতে পারে (জাতিসংঘ) নিরাপত্তা পরিষদে যাওয়ার আগে। এবং
ইসরায়েলের পার্লামেন্ট, নেসেটে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকারের ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের কোনো একতরফা স্বীকৃতি প্রত্যাখ্যান করার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে ৯৯-১১ ভোট প্রস্তাবটি পাশ হওয়ার একদিন পরে তার এ বক্তব্য এসেছে।
মনসুর আরো বলেন, শুধুমাত্র আমরা, ফিলিস্তিনি জনগণ, যারা আমাদের রাষ্ট্রের স্বাধীনতা সহ আমাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার নির্ধারণ করবে। আমরা সেই নীতির আমরা সেই নীতির প্রশ্নে ইসরাইলের সাথে আলোচনা করব না এবং আমরা এটি করার জন্য তাদের কাছ থেকে অনুমতি চাইব না । .
ফিলিস্তিন জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ইসরায়েলকে গাজার অবরোধ তুলে নিতে বাধ্য করার জন্য বাস্তব পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অনুরোধ করার প্রক্রিয়াটি ত্বরান্বিত করবে। যেমন ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র সরবরাহকারী দেশগুলিকে ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র ও গোলাবারুদ না পাঠাতে বা বিক্রি না করতে বলার কাজটি শুরু করবো। অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের উপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির প্রসঙ্গটিও তিনি উল্লেখ করেন।
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রটি ২০১২ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে একটি পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র হিসাবে প্রতিনিধিত্ব পেয়েছিল। এমতাবস্থায় ফিলিস্তিনি দূতকে বিতর্ক এবং জাতিসংঘের সংস্থাগুলিতে অংশ নেওয়ার অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু ফিলিস্তিনি দূতের ভোটাধিকার দেয়া হয়নি।
জাতিসংঘের সনদ অনুযায়ী, নিরাপত্তা পরিষদের সুপারিশে সাধারণ পরিষদের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে রাষ্ট্রগুলোকে জাতিসংঘের সদস্যপদ দিয়ে থাকে।
মানসুর বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ই ১৯৪৭ সাল থেকে ফিলিস্তিনে দুটি রাষ্ট্র গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ফিলিস্তিনি জনগণের সাথে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্ব হল ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে সদস্যপদে স্বীকার করে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া।
ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিস (আইসিজে) থেকে অস্থায়ী আদেশ পালনের পরিবর্তে ইসরায়েল ফিলিস্তিনের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার অস্বীকার করে আসছে। তারা কোর্টের রায়কে গায়ের জোরে অমান্য করে চলেছে।
আনাদোলু নিউজ থেকে অনুদিত
Leave a Reply