1. admin@bdchannel4.com : 𝐁𝐃 𝐂𝐡𝐚𝐧𝐧𝐞𝐥 𝟒 :
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৩৯ অপরাহ্ন

নান্দাইলে ‘কসম’ সংগ্রহে হুড়োহুড়ি

স্টাফ রিপোর্টার, নান্দাইল, ময়মনসিংহ।।
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫
  • ৭৩ বার পড়া হয়েছে

 

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার রাজগাতী ইউনিয়নে নরসুন্দা নদী খননের পর ‘কসম’ সংগ্রহে হুড়োহুড়ি করছে এলাকাবাসী।

স্থানীয়দের নামানুসারে কালোমাটির নাম হচ্ছে কসম। যে মাটি রৌদ্রে শুকিয়ে তা রান্নাবান্নায় বিকল্প জ্বালানী হিসাবে ব্যবহারা করা হয়।

কালোমাটি সংগ্রহে নদীর পাড়ের বাসিন্দাদের মধ্যে এখন উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, রাজগাতী ইউনিয়নের কালিগঞ্জ বাজারের কাছে শুভখিলা রেলসেতু ও চংভাদেরা এলাকায় নরসুন্দা নদী খনন যন্ত্রের

আশেপাশে দুই পাড়ের বিভিন্ন বয়সের লোক কোদাল, শাবল নিয়ে যে যেভাবে পারছে কসম (কালো মাটি) সংগ্রহ করছে। কেউ বস্তা, বড় গামলা, কেউ খাদি ভরে ভরে মাটি পাড়ে নিয়ে জমা করছে। কেউ কেউ আবার নদীর মাটির

নিচে পাওয়া অর্ধপচা গাছের গুড়ি কেটে কেটে লাকড়ি সংগ্রহের কাজে ব্যস্ততায় কাটাচ্ছে।

জানা গেছে,‘কসম, এক ধরনের কালো মাটি যা প্রাচীন কোন জলাশয়, নদীর কিনারায় বা তলদেশে পাওয়া যায়। সাধারণ মাটি থেকে এ মাটি একটু কালো এবং ওজনে হালকা হয়। রোদে শুকিয়ে সে মাটি দিয়ে সারা বছর রান্না বান্নার কাজ করা যায়। ফলে বিনা পয়সার এ জ্বালানীর কদর এখন সবার বাড়িতে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ময়মনসিংহের অধীনে নান্দাইলের নরসুন্দা নদীটির ২৩ কিঃমিঃ খননের কাজ শুরু হয়েছে। বিশ

দিন যাবত ১৩ টি খনন যন্ত্র (ভেকু) দিয়ে খনন কাজ শুরু করেছে। খনন করতে গিয়ে নদীর কাঁদামাটির নিচে বা পাশে এক ধরনের হালকা কালো মাটি পাওয়া যাচ্ছে। সে মাটি সংগ্রহের জন্য চলছে নদীর পাড়ের লোকজনের হুড়োহুড়ি।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক, শামছুল হক ও হাবিবুর জানান, তারা বাপ দাদার কাছে শুনেছেন বড় বড় গাছ পালা নদীর মাটির নিচে চাপা পড়ে এ ধরনের কালো মাটিতে পরিণত হয়েছে। এ মাটি সংগ্রহের পর তা টুকরা টুকরা করে ১৫ থেকে ২০ দিন রোদে শুকাতে হয়। এরপর সারা বছর রান্নারজ্বালানী হিসাবে মজুদ রাখা হয়। রাজগাতী ইউপি চেয়ারম্যান ইফতেখার মমতাজ খোকন জানান, মাটি সংগ্রহে নদীর পাড়ের অসচ্ছল পরিবারগুলোর মধ্যে যেন প্রতিযোগিতা বা উৎসবের সৃষ্টি হয়েছে।

নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার সারমিনা সাত্তার জানান, এধরনের মাটি পাওয়া গেলে সেটি খুবই ভালো একটি খবর। আমরা যত বেশি জীবাশ্ব জ্বালানী ব্যবহার করতে পারব, ততই আমাদের বনাঞ্চল সংরক্ষিত থাকবে। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলেও জানান তিনি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: বাংলাদেশ হোস্টিং