ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার আচারগাঁও ইউনিয়নের সিংদই শেখেরডাংগর গ্রামের চাচা-ভাতিজার জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ৭ কাঠা (৭০ শতাংশ) জমির কৃষি ফসল কেটে বিনষ্ট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মরিচ, রসুন, বেগুন ও টমেটো গাছ কেটে ক্ষতিগ্রস্থ করায় দিশেহারাসহ আতংকে রয়েছে ভোক্তভোগী আব্দুল হাইয়ের পরিবার। জানা গেছে, শেখের ডাংগর গ্রামের আব্দুল হাই (৮০) ও মৃত ওয়াহেদ আলী সম্পর্কে আপন দুইভাই। চাচা আব্দুল হাই দুই বছর আগে নিজ বাড়ির জায়গা থেকে ১৮ শতক জমি তার বিবাহিতা মেয়ে মনোয়ারা ও হারুনার নামে লিখে দেন। কিন্তু প্রতিপক্ষ মৃত ওয়াহেদ আলীর ছেলে আব্দুল হাইয়ের ভাতিজা আব্দুস সাত্তার, আব্দুল গণি, ফরজুল হক, কালাম গং সেই জমি তাদের নিজেদের জমি বলে দাবি করেন। এ নিয়ে ইতিপূর্বে বেশ কয়েকবার হানাহানির ঘটনাও ঘটেছে যা নিয়ে উভয় পক্ষই আদালতের দারস্থ হয়েছেন।
শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি নান্দাইল মডেল থানায় এ নিয়ে একটি সালিশ হবার কথা ছিল। কিন্তু প্রতিপক্ষ আব্দুস সাত্তার ও আব্দুল গণি গং সেই সালিশে বসতে বিভিন্ন তালবাহানা করছে বলে অভিযোগ করেন আব্দুল হাইয়ের ছেলে হারুন অর রশিদ। তিনি আরও বলেন, তারা কোন মিমাংসায় আসতে চায় না বলেই বৃহস্পতিবার ভোরে আব্দুস সাত্তার গং দলবদ্ধ হয়ে আব্দুল হাইয়ের ছেলে সাইদুল, হারুন, রুবেল ও লিটনের সাড়ে ৭ কাঠা (৭০ শতাংশ) জমিতে থাকা মরিচ, রসুন,বেগুন, টমেটোর গাছ কেটে ফেলে রেখে যায়। এছাড়া আব্দুল হাই পরিবারের সদস্য হৃদয় মিয়া জানান, ৬ মাস পূর্বে প্রতিপক্ষ তাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে।
এছাড়া গত ২২ জানুয়ারি আব্দুস সাত্তার গং বাড়িতে এসে হামলা চালিয়ে লিটন ও সাবিনাসহ কয়েকজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করেছে। এ ঘটনায় ৩১ জানুয়ারি থানায় মামলা নং-২০ দায়ের করেছেন তারা। প্রতিপক্ষ কালাম ও ফরিদ মিয়া জানান, কোন অভিযোগই সঠিক নয়। চাচার সাথে তাদের ১৮ শতক জমি নিয়ে বিরোধ চলছে তা ঠিক, তবে বিভিন্ন ফসল ক্ষতিগ্রস্থ করার সাথে তারা কেউ জড়িত নন।
এ বিষয়ে নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ফরিদ আহম্মেদ জানান, বুধবার ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনি উভয়পক্ষকে জমির কাগজপত্র নিয়ে শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) থানায় আসতে বলে এসেছিলেন। এর মধ্যে একপক্ষের ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্থ করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থরা অভিযোগ দিয়েছে, আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
Leave a Reply