যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সোমবার তাঁর অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রয়োজনে পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। পরের দিন মঙ্গলবার ট্রাম্পের হুমকির বিরুদ্ধে জাতিসংঘে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ জানিয়েছে পানামা।
ট্রাম্প যদি শক্তি প্রয়োগ, বিশেষ করে সামরিক শক্তি ব্যবহার করে পানামা খাল দখলের চেষ্টা করেন, তা হবে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক দশকের নীতিবিরুদ্ধ। তা ছাড়া যুদ্ধ করাটা ট্রাম্পের ব্যক্তিগত নীতিরও বিরোধী। কারণ, তিনি দীর্ঘদিন ধরে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সেনাদের যুদ্ধ করার বিরোধিতা করে আসছেন। তাই হঠাৎ তিনি যদি পানামা খাল দখলের জন্য একটি বড় রকমের যুদ্ধ শুরু করেন, তা জনসমর্থন আদায় করতে ব্যর্থ হতে পারে।
পানামা খালের দখল নিয়ে যুদ্ধ শুরু হলে সেটির ধাক্কা বিশ্ব অর্থনীতিতেও পড়বে। এই খাল দিয়ে প্রতিবছর বৈশ্বিক বাণিজ্যের প্রায় ৬ শতাংশ হয়ে থাকে। অথচ এরই মধ্যে লোহিত সাগরের সুয়েজ খালে দিয়ে চলাচলকারী জাহাজে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে বৈশ্বিক বাণিজ্যকে অস্থির করে তুলেছে ইয়েমেনের হুতিরা। এ খাল দিয়ে বিশ্ব অর্থনীতির প্রায় ১২ শতাংশ বাণিজ্য হয়ে থাকে।
প্রথাগত চিন্তার বাইরে গিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণেই ট্রাম্প বিশ্বজুড়ে পরিচিত। এ ধরনের সিদ্ধান্তের ওপরই তাঁর রাজনৈতিক জীবন দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু তাই বলে পানামা খাল দখলের জন্য সামরিক শক্তির ব্যবহার হবে বেশ ঝুঁকিপূর্ণ—এ ধরনের অভিযান ব্যর্থ হওয়ার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে।
Leave a Reply