আজ ১৬ ডিসেম্বর-২০২৪। মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এ দিনে হানাদার পাকিস্তানী বাহিনী ও তাদের  দেশীয় দোসরদের কবল থেকে মুক্তি পেয়ে পূর্ব পাকিস্তান থেকে জন্ম নিয়েছিল বাংলাদেশ নামের একটি নতুন দেশ। এ মুক্তি এমনি এমনি আসেনি। এজন্য চরম মূল্য দিতে হয়েছিল আমাদের। ৩০ লাখ মুক্তিকামী তাজা প্রাণ আর দু’লাখ মা-বোনদের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমাদের এ  বিজয় অর্জিত হয়। দীর্ঘ নয় মাস আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধারা লড়েছে শক্তিধর পাক বাহিনীর সাথে। চরম মূল্যে আমরা পাই বিজয় ও স্বাধীনতা।  

সারাদেশে যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভির্যের সাথে পালিত হয়েছে মহান বিজয় দিবস। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো সংবাদ:

রাজশাহী থেকে আমাদের স্টাফ রিপোর্টার জানান, বিজয়  দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে রাজশাহী  জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে বীর শহিদানদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়েছে।

সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর  সকাল ৬:৪২ মিনিটে রাজশাহী জেলা প্রশাসন চত্বরে স্থাপিত  মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন রাজশাহী জেলা পরিষদের  প্রশাসক ও অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) তরফদার মো: আক্তার জামীল। এসময় জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মু. রেজা হাসানসহ জেলা পরিষদের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

পাকুন্দিয়া( কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি এম এ হান্নান জানান, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর সকাল ৮ টায় পাকুন্দিয়া সরকারি কলেজের শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বিল্লাল হোসেন, উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মামুন সরকার, পাকুন্দিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাখাওয়াত হোসেন,  উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা, পল্লী বিদ্যুৎ পাকুন্দিয়া, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, পাকুন্দিয়া উপজেলা প্রেসক্লাব, উপজেলা বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। 

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠান উদ্বোধন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়ানো হয়।

দিবসটি উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা,আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, সাংবাদিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সুশীল সমাজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও পরিবারের লোকজন, শিক্ষক শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।                                                                                                                                                                                     

আমাদের ইটনা (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা উপজেলায় মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে । সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে মহান বিজয় দিবসের শুভ সূচনা করা হয়। সূর্যদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি আধা সরকারি স্বায়িত্ব শাসিত এবং বেসরকারি ভবন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। স্বাধীনতা স্মারক স্মৃতিসৌধে প্রথমেই ইটনা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু বকর সিদ্দিক (ভারপ্রাপ্ত) পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে মুক্তিযোদ্ধাগণ, ইটনা থানা, ইটনা ফায়ার সার্ভিস, ইটনা সরকারি কলেজ, ইটনা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়।

আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর দিন ব্যাপি আড়ম্বরপূর্ণ বিজয় মেলা, চারু কারু ও স্থানীয় উৎপাদিত শিল্প পণ্যের মেলার আয়োজন, বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, ইটনা উপজেলা সেনা ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন তানভীর, ইটনা থানা অফিসার ইনচার্জ মনোয়ার হোসেন, বিশিষ্ট লেখক ও কলামিস্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা রওশন আলী রশো, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস ছাত্তার, মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আল মামুন প্রমুখ।

বক্তাগণ মহান বিজয় দিবসের বিভিন্ন দিক তুলে আলোচনা ও একাত্তর এর স্মৃতিচারণ মূলক বক্তব্য তুলে ধরেন। স্ব:স্ব: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র/ছাত্রীদের অংশ গ্রহণে ক্রীড়া অনুষ্ঠান টি-টুয়েন্টি ক্রিকেট ম্যাচ, ফুটবল, কাবাডি, হাডু ডু খেলা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধারেদ বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মুনাজাত, হাসপাতাল ও এতিম খানায় উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হয়। বিকেলে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ স্থানীয় সংবাদ পত্রে প্রবন্ধ ও নিবন্ধ প্রকাশসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল দিন ব্যাপি বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে।

ময়মনসিংহ থেকে আমাদের স্টাফ রিপোর্টার উবায়দুল্লাহ রুমি জানান, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে সোমবার ভোর থেকেই ফুলেল শ্রদ্ধায় জাতির সূর্য সন্তানদের স্মরণ করতে থাকে সর্বস্তরের মানুষ। বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা হাতে ফুল, ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে ঈশ্বরগঞ্জ পৌর সদরের ডাকবাংলো সংলগ্ন স্থানীয় স্মৃতিসৌধে আসতে শুরু করেন। 

সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১বার তোপধ্বনির পর স্থানীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সারমিনা সাত্তার, উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইকবাল হোসাইন ও থানার অফিসার ইনচার্জ ওবায়দুর রহমান। এরপর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক দল তাদের নিজ নিজ দলের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। 

উপজেলা প্রশাসনের আয়োজিত কর্মসুচির মধ্যে ছিল, সরকারি বেসরকারী ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১বার তোপধ্বনি, স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের সম্মানে পুষ্পস্তবক অর্পণ, শহীদদের কবর জিয়ারত, মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, শিক্ষার্থীদের চিত্রাঙ্কন, কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা, আনিষ্ঠানিক ভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, ঈশ্বরগঞ্জ সোনালি টকিজে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন, হাসপাতাল ও এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন, মহিলাদের অংশগ্রহণে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ। এছাড়াও উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিভিন্ন দফতরের ১৪টি প্রদর্শনী স্টল বসানো হয়। বিকেলে আলোচনা সভা শেষে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

নান্দাইল থেকে আমাদের স্টাফ রিপোর্টার  জানান, ময়মনসিংহের  নান্দাইলে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে বিগ্রেডিয়ার (অব:) শামসুল ইসলাম শামস সূর্য্য ও নান্দাইল পৌরসভার  সাবেক মেয়র, ময়নসিংহ উত্তর জেলা বিএনপি’র সদস্য এ.এফ.আজিজুল ইসলাম পিকুলের নেতৃত্বে বিএনপি’র বিজয় মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর  সকালে নান্দাইল উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী  সংগঠনের পক্ষ থেকে উপজেলা সদরের কেন্দ্রীয় স্মৃতি সৌধে পুষ্পস্তবক অপর্ণ করা হয়।

এছাড়া নান্দাইল উপজেলার পৌরসভা সহ ১৩টি ইউনিয়নের বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা নান্দাইল সরকারি শহীদ স্মৃতি আদর্শ ডিগ্রী কলেজ মাঠে বিজয় মিছিল সহকারের সমবেত হয়। পরে ১১ টায় এক বিশাল বিজয় মিছিল উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সাবেক পৌর মেয়র বিএনপি নেতা এ.এফ.এম আজিজুল ইসলাম পিকুলের বাসভবনের সামনে গিয়ে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। মিছিল ও আলোচনা সভায় উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন বিএনপি এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা স্বতস্ফ‚র্তভাবে অংশগ্রহন করেন। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বিগ্রেডিয়ার (অব:) শামসুল ইসলাম শামস সূর্য্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) থেকে আমাদের স্টাফ রিপোর্টার আরো জানান,  ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়েছে।

সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর এ উপলক্ষ্যে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১বার তোপধ্বনি শেষে স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের কবর জিয়ারত ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

সকাল ৮টায় নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার অরুণ কৃষ্ণ পালের সভাপতিত্বে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর পুলিশ, আনসার ও ফায়ার সার্ভিসের প্যারেড গ্রাউন্ড পরির্দশন শেষে উপজেলা চত্বরে দিনব্যাপী আড়ম্বরপূর্ণ বিজয় মেলার উদ্বোধন করা হয়। পাশাপাশি বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনার  আয়োজন করা হয়।

এছাড়া জাতির শান্তি, অগ্রগতি ও মহান শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে প্রার্থনা করা হয় এবং হাসপাতাল, এতিমখানা ও শিশু সদনে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হয়।  সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদ হল রুমে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার অরুণ কৃষ্ণ পাল, উপজেলার সহকারী কমিশানার (ভূমি) ফয়জুর রহমান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দিবাকর ভাট, নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ফরিদ আহমেদ, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা ইনসান আলীসহ বিভিন্ন দপ্তর প্রধানগণ সহ সূধীজন ও সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।

কুলিয়ারচর (কিশোরগঞ্জ) থেকে আমাদের স্টাফ রিপোর্টার মুহাম্মদ কাইসার হামিদ জানান, কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে।

সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর দিবসটি উপলক্ষে দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে ছিল সূর্যোদয়ের সাথে সাথে থানা প্রাঙ্গণে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান মালার শুভ সূচনা করা হয়।

অন্যান্য কর্মসূচির অংশ হিসেবে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি ভবন সমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

সকাল ৮টার দিকে ক্রমান্বয়ে উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, উপজেলা ও পৌর বিএনপিসহ এর অঙ্গ সংগঠন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কুলিয়ারচর সরকারি কলেজ, কুলিয়ারচর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, কুলিয়ারচর প্রেসক্লাব, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, উপজেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি, আবাসিক প্রকৌশলী, বেগম নূরুন্নাহার পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, জাকের পার্টি, আনসার ভিডিপি, বড়খরচর আদর্শ গ্রাম, প্রতিবন্ধী সেবা সংস্থা সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, উপজেলা সরকারী কর্মজীবী কল্যাণ পরিষদ, বাংলাদেশ প্রথমিক শিক্ষক সমিতি, সামাজিক সংগঠন, বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এর পক্ষ থেকে পৃথক পৃথক ভাবে কেন্দ্রীয় শহীদ সেলিম স্মৃতি সংসদ প্রাঙ্গনে স্বাধীনতা স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

সকাল ৯টার দিকে থানা সংলগ্ন মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন উপজেলা পরিষদের প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবিহা ফাতেমাতুজ্-জোহরা। পরে থানা মাঠে দিনব্যাপী চারু, কারু ও স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত শিল্প-পণ্যের বিজয় মেলা পরিদর্শন করেন অতিথিবৃন্দ।

পরে থানা মাঠ সংলগ্ন শহিদ হুমায়ুন কবিরের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে বীর মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত এবং জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

সকাল ১১টার দিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর ২ টার দিকে হাসপাতাল ও এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়।

বিকালে থানা মাঠে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ (উপজেলা প্রশাসন, কুলিয়ারচর ও বীরমুক্তিযোদ্ধা সম্মিলিত একাদশ বনাম কুলিয়ারচর পৌরসভা ও সুধীজন সম্মিলিত একাদশ) এর আয়োজন করা হয়।

এছাড়া, স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (স্কুল, কলেজ, ও মাদ্রাসা) ছাত্র-ছাত্রীদের অংশ গ্রহণে দিবসটি পালন করা হয়।