ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মেসার্স ঐশী এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্বাধিকারী বালু মহালের ইজারাদার মো. মামুনুর রশিদের কাছে লোক মারফত চাঁদা দাবী করার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। চাঁদা না দিলে সরকারি ডাককৃত বালু রাস্তা দিয়ে নিয়ে যেতে পারবেনা বলে ইজারাদারকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে চাঁদাবাজ চক্রের আব্দুস সাত্তার, রতন মেম্বার, ইদ্র্রিছ, আসাদুল মোল্লাসহ অজ্ঞাত বেশ কয়েকজন। এছাড়া চাঁদাবাজকারীরা দল বেঁধে মোটর সাইকেল যোগে বালু নিয়ে যাতায়াতের রাস্তায় দেশীয় অস্ত্রের মহড়া দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে যাচ্ছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০শে সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলাধীন চররামমোহন বালুর মহাল ইজারা ডাকে মেসার্স ঐশী এন্টারপ্রাইজ সর্বোচ্চ ডাককারী হিসাবে ২ কোটি ৬৫ লাখ টাকায় বালু মহাল থেকে বালু উত্তোলনের কাজ পান। সেই টেন্ডারে ১২জন ঠিকাদার অংশ গ্রহণ করেন। সরকারি বিধি মোতাবেক ইজারা ডাকে নান্দাইল এনসিসি ব্যাংক থেকে বিডি নং ৪২৩২৮৪৮ চেকে ৫০ লাখ টাকা ও বিডি নং ৪২৩২৮৪৯ চেকে ১০ লাখ টাকা মোট ৬০ লাখ টাকার বিডি প্রদান করেছেন মামুনুর রশীদ। ফলে তিনি উক্ত বালু মহালের (ঘাটের) ইজারা প্রাপ্তি হন। বালু উত্তোলন করে পরিবহনের একমাত্র রাস্তা ত্রিশাল উপজেলাধীন বালিয়াপাড়া রোড। কিন্তু ত্রিশাল উপজেলার কতিপয় লোক আব্দুস সাত্তার, রতন মেম্বার, ইদ্র্রিছ, আসাদুল মোল্লা একত্রিত হয়ে রাস্তা ব্যবহারের বাধা প্রদান করছেন বলে জানিয়েছেন ইজারাদার মামুমুনুর রশিদ। তিনি আরও বলেন, কতিপয় চাঁদাবাজ ওই রাস্তায় প্রতিনিয়ত মহড়া দিয়ে যাচ্ছেন এবং মোটা অংকের টাকা দাবী করছেন। পাশাপাশি জমির মালিকগণকে রাস্তা না দেয়ার জন্য ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুস সাত্তার বলেন, জমির মালিকগণ বালু নেওয়ার জন্য যদি রাস্তা না দেন, তাহলে আমরা কি করবো ? এছাড়া চাঁদা চাওয়ার তো কোন প্রশ্নই উঠেনা।
Leave a Reply