ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছর পর প্রকাশ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার, ৩১ অগাস্ট বিকেলে উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে মল্লিকপুর লক্ষীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
জামায়াতে ইসলামী মাইজবাগ ইউনিয়ন শাখার সভাপতি মোহাম্মদ আকরাম হোসাইন মনোয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ময়মনসিংহ জেলা শাখার শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা শাখার আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা মন্জুরুল হক হাসান।
জামায়াতে ইসলামী ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা শাখার কর্মপরিষদ সদস্য ও মাইজবাগ ইউনিয়ন জামায়াতের সাবেক সভাপতি এইচ এম মাজহারুল ইসলামের সঞ্চালনায় কর্মী সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য বায়তুলমাল সম্পাদক অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আলমগীর কবির।
কর্মী সম্মেলনে অন্যানের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, জাটিয়া ইউনিয়ন আমীর ইয়াহিয়া ইকবাল, সেক্রেটারি মুহাম্মদ আল মামুন, মগটুলা ইউনিয়ন আমীর,মাওলানা নুর মুহাম্মদ মোতালেব, সেক্রেটারি মাওলানা আজিজুল হক, মাইজবাগ ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি আবুল বাশার মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ, বায়তুল মাল সম্পাদক হাকিম মুহাম্মদ আব্দুল আওয়াল, মাইজবাগ ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি, যতাক্রমে মাওলানা আয়াতুল্লাহ খোমেনি, আলহাজ্ব হাফেজ আবু সালেহ, মাওলানা আবুল হোসাইন, ইসলামী ছাত্র শিবির ময়মনসিংহ উত্তর জেলা শাখার সাবেক সভাপতি মোঃ আবু ওয়াক্কাস, মিনার সাংস্কৃতিক সংসদ ময়মনসিংহ মহানগরীর সাহিত্য সম্পাদক ছাত্রনেতা মাসুম বিল্লাহ, ইসলামী ছাত্রশিবির ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা শাখার সাবেক সভাপতি আবুল ওয়াহাব আকন্দ ফরিদ, সেক্রেটারি ছাত্রনেতা মুহাম্মদ শিহাবুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রনেতা মোহাম্মদ সারওয়ার জাহান, ওয়ার্ড জামায়াত নেতা হাফেজ রফিকুল ইসলাম রবি, নুরুল ইসলাম ভূঁইয়া, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, সামছুদ্দিন,আজিজুল হক সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
কর্মী সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ বলেন, সকলেই বৈষম্য বিরোধী গণ আন্দোলনে নিহত সকল বীরদের শ্রদ্ধা ও রুহের মাগফেরাত কামনা করেন। বৈষম্যহীন, দুর্নীতিমুক্ত, ইসলাম ও ন্যায় ভিত্তিক সুশাসনের বাংলাদেশ বিনির্মাণের শপথ নিতে সন্দ্বীপ তথা বাংলাদেশের সকল মানুষকে ইসলামী ও উদার গণতান্ত্রিক দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের কুরআন শেখা, বোঝা ও আমল করার ওপর গুরুত্বারোপ করবেন, জামায়াতের কর্মী মানে সমাজকর্মী হতে হবে। সংগঠনের মৌলিক কাজগুলো নিয়মিত করবেন, বিশেষ করে গ্রুপ ভিত্তিক দাওয়াতী কাজ নিশ্চিত করতে হবে। নিজ পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের মাঝে দাওয়াতী কাজ নিশ্চিত করতে হবে। ছাত্র আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সার্বিক সহযোগিতা ও আহতদের পাশে থাকা এবং বর্তমান পানিবন্দি জনগণের জন্য দোয়া ও সহযোগিতার হাত সম্প্রসারণের আহ্বান জানান।
Leave a Reply