পবিত্র ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে কোরবানির পশু প্রস্তুত করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কিশোরগঞ্জের খামারি ও ক্ষুদ্র মাঝারী পশু পালকেরা। তারা নিয়মিত পশুর যত্ন নিচ্ছেন। তবে গো-খাদ্যের মূল্য বেশি হওয়ায় কোরবানির হাটে এর প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
কিশোরগঞ্জ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে,কিশোরগঞ্জে এবার কোরবানির জন্য পশু প্রস্তুত করা হয়েছে এক লাখ ৯৯ হাজার ৬১৬ টি। তবে জেলায় চাহিদা রয়েছে এক লাখ ৭১ হাজার ৯৩৩ টি। এর মধ্যে ৬৫ হাজার ১০৫ টি ষাড়,৩ হাজার ১৭০ টি বলদ, ১৬ হাজার ৬০১ টি গাভী, ১ হাজার ৪২৯ টি মহিষ,১ লাখ ৮৪ হাজার ১৬৮ টি ছাগল,৪ হাজার ৯২৩ টি ভেড়া কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।প্রা কৃতিকভাবে প্রস্তুত করা এসব পশু কিনতে খামারে প্রতিনিয়ত ভিড় করছেন খুচরা ক্রেতাসহ পাইকারেরাও।
করিমগঞ্জ উপজেলার আয়লা গ্রামের ইয়াসিন এগ্রো ফার্মের মালিক মোশাররফ হোসেন সুমন জানান, এ বছর তার ফার্মে ১০-১৫ টি গরু রয়েছে যা কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। গরু গুলি তিনি দেশীয় পদ্ধতিতে লালন পালন করেছেন। ভালো দাম পাওয়ার আশা করছেন তিনি। তবে এবার গো-খাদ্যের দাম যেভাবে বেড়েছে তাতে গরুর দাম বেশি হওয়াটা স্বাভাবিক। দাম একটু বেশি না হলে খামারিরা বাঁচবে না।’
অন্য খামারিরা বলছেন,বেশির ভাগ খামারি নিজেদের গচ্ছিত পুঁজি দিয়ে খামারে কোরবানির জন্য পশু পালন করেছেন। আবার অনেক খামারি এনজিও বা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েও পশু পালন করেছেন। পশুখাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় পশু লালনপালনে ব্যয় ও বেড়ে গেছে। এখন সে অনুযায়ী দাম না পেলে খামারিদের পথে বসতে হবে।
এবার কোরবানির পশুর দাম চড়া হবে বলে জানান খামারি মোশাররফ হোসেন সুমন।এর কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উৎপাদন খরচ বেশি হয়েছে। তাই একটু লাভ করতে হলে বেশি দামে পশু বিক্রি করতে হবে। আশা করছি, এবার ঈদে ভালো দাম পাবো।
কিশোরগঞ্জ শহরের সবচেয়ে বড় পশুর হাট চরশোলাকিয়া ইচ্ছাগঞ্জ গরুর হাট। এ হাটের ইজারাদাররা জানান, সপ্তাহে শুক্রবার এখানে নিয়মিত হাট বসে।গত শুক্রবারের হাট থেকে মোটামুটি কোরবানির পশু আসা শুরু হয়েছে। ঈদের আগ মুহুর্তে হাট জমে উঠবে।
কিশোরগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.সুভাষ চন্দ্র পন্ডিত জানান, জেলার চাহিদা মিটিয়ে এবার প্রায় ২৭ হাজার ৬৬৩ টি পশু উদ্বৃত্ত থাকবে। রুগ্ন পশু যাতে কেউ বিক্রি করতে না পারে তার জন্য কোরবানির হাটে ভেটেনারি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। চামড়া ছাড়ানো ও সংরক্ষণের জন্য মৌসুমী কসাইদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
Leave a Reply