গোটা ভারত জুড়ে চলছে ইতিহাসের সর্বোচ্চ তীব্র তাপদাহ। দেশটির মেগাসিটিগুলোতে এই তাপদাহ সবচেয়ে বেশী খারাপ প্রভাব ফেলেছে। ব্যবসা বানিজ্য এই তীব্র তাপদাহের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।বিশেষ করে রাজধানী নয়াদিল্লির জনজীবন প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে। তীব্র গরমে মৃত্যুর মিছিল ক্রমেই বড় হচ্ছে দেশটিতে।
উত্তর-পশ্চিম এবং মধ্য ভারতের অংশগুলি কয়েক সপ্তাহ ধরে তাপপ্রবাহ থেকে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সতর্কতা জারি করে লোকজনকে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ৩০ মে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বুধবার নয়াদিল্লির মুঙ্গেশপুর পাড়ায় তাপমাত্রা রেকর্ড সর্বোচ্চ ৫৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, শহরের অন্যান্য অংশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৫.২ সেন্টিগ্রেড থেকে ৪৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকায় সেটা জনজীবনে শঙ্কা তৈরী করেছে।
বৃহস্পতিবার দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানায়, আগের দিন রেকর্ড করা প্রচণ্ড গরমের ফলে নয়াদিল্লিতে ৪০ বছর বয়সী এক শ্রমিকের হিটস্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে। বিহারে এই মৃত্যু ২০ ছড়িয়েছে।
ভারত এই তাপপ্রবাহকে এমন একটি পরিস্থিতি হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করেছে যেখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ৪.৫ থেকে ৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পর্যন্ত বেড়েছে। যা স্বাভাবিক জীবন যাপনে শঙ্কা তৈরীকরছে।
এই বছরের তাপপ্রবাহটি এমন সময় চলছে যখন দেশটির জাতীয় নির্বাচন চলমান রয়েছে। যা ভোটারদের তাদের ভোট দিতে তীব্র তাপদাহ সহ্য করতে বাধ্য করেছে।
Leave a Reply