কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার রামদী ইউনিয়নের জিসি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় গত ৮মে বুধবার বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের এক জরুরি মিটিং-এ বিদ্যালয়ের ৫৪ লাখ ৮৪ হাজার ১শ’ ৫৯ টাকার হিসাব দিতে না পারায় টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রধান শিক্ষক মো. মজিবুর রহমানকে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দ্বিতীয় বারের মতো শোকজ করেন বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও রামদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আলাল উদ্দিন। শোকজে ৭ দিনের মধ্যে বিদ্যালয়ের টাকা স্কুল ফান্ডে জমা দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত ওই প্রধান শিক্ষক মো. মুজিবুর রহমানকে নির্দেশ দেন সভাপতি। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করে দেওয়া হয়। যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
ওই দিন স্থানীয় সাংবাদিকগণ অভিযুক্ত ওই প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য নেওয়ার সময় দেখতে পান প্রধান শিক্ষকের টেবিলে একাধিক সিগারেট। যা তিনি ধুমপানের জন্য টেবিলে রেখেছিলেন। সাংবাদিকরা প্রশ্ন করার পর তড়িগড়ি করে টেবিল থেকে সিগারেটগুলো সরানোর চেষ্টা করেন তিনি।এই দৃশ্যও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
এব্যাপারে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মো. মজিবুর রহমানের সাথে বৃহস্পতিবার, ৯ মে দুপুরে সাংবাদিকদের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, তাকে কেউ লিখিতভাবে শোকজ করেননি। তার বিরুদ্ধে আনীত বিদ্যালয়ের ৫৪ লাখ ৮৪ হাজার ১শত ৫৯ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ সত্য নয়। তবে তিনি স্বীকার করেন, তার হিসাব অনুযায়ী তার নিকট বিদ্যালয়ের ৭ লাখ টাকা গচ্ছিত আছে। তিনি ১০ লাখ টাকা বিদ্যালয় ফান্ডে জমা করে দিবেন এমন আশ্বাস দিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির নিকট ইতোপূর্বে ২ লাখ টাকা জমা দিয়েছেন। তার দাবী একটি কুচক্রি মহল তার মান-সম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য মিথ্যা ও বানোয়াট নাটক সাজিয়েছে। যার কোনো ভিত্তি নেই।
Leave a Reply