কিশোরগঞ্জে পাকুন্দিয়া উপজেলায় নির্বাচনের পোস্টার পলিথিনে মোড়ানো হচ্ছে। বৃষ্টিতে ভিজে পোস্টার নষ্ট হওয়া ঠেকাতে এটি করা হচ্ছে। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রার্থীদের এ ধরনের কাজ নির্বাচন কমিশন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা যেন দেখেও না দেখার ভান করছেন।
রবিবার,২৮ এপ্রিল সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার ১টি পৌরসভা ৯টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে বিভিন্ন পদের প্রার্থীরা তাঁদের নির্বাচনী পোস্টার দীর্ঘস্থায়ী রাখতে নিষিদ্ধ পলিথিন দিয়ে মুড়িয়ে টাঙিয়ে রেখেছেন। নির্বাচনে বাসাবাড়ি, দোকানসহ যত্রতত্র দেয়ালে প্রার্থীরা পোস্টার লাগানো হচ্ছে । উপজেলার ডাকবাংলার সামনে আনারস মার্কা পলিথিন মোড়ানো পোস্টার দেখা গেছে। কৈ মাছ প্রতীক দেয়ালে পোস্টারের উপর লাগানো হয়েছে মোটরসাইকেল প্রতীক । এই বিষয়ে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেনু বলেন, দেওয়ালেগুলোতে ভুলে পোস্টার লাগানো হয়েছে। যারা লাগিয়েছেন, তারা ভুল করেছেন। আমি তাদের সরিয়ে ফেলতে বলেছি। এছাড়া পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বিবেচনা করে সরকার বহু আগে পলিথিন উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করেছে।
দেয়ালে পোস্টার লাগানো নিষেধ করা হলেও তা মানতে দেখা যায়নি কোন প্রার্থীকেই। বৈদ্যুতিক খুঁটিতে পোস্টার টানানো যাবে না। কোন যানবাহন পোস্টার লাগানো যাবে না।উপজেলা সব প্রার্থীই এই কাজটি করছেন।
প্রতিদিনই বাড়ছে পোষ্টার লাগানো যানবাহনের গায়ে পোস্টার সাঁটানোর কাজ। প্রচারে বিভিন্ন যানবাহনের শোভাযাত্রাও নিষেধ। তার পরও রাতভর মোটরসাইকেল নিয়ে শোডাউন করছেন প্রার্থীরা।
এই বিষয়ে জানতে চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকের প্রার্থী এমদাদুল হক জুটনকে ফোন করে পাওয়া যায়নি।
কিশোরগঞ্জ জেলার রিটার্নিং অফিসার ও জেলা সিনিয়র নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মোরশেদ আলম বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধিতে বলা হয়েছে, কোনো প্রার্থী তাদের পোস্টারে পলিথিন ব্যবহার করতে পারবেন না। যদি কেউ পলিথিন ব্যবহার করে থাকেন, তবে আমাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘নির্বাচনী কাজে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহারের কথাটি গণমাধ্যমে জানতে পেরেছি। সংশ্লিষ্ট সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদের এ ব্যাপার ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেব।
Leave a Reply