পাকুন্দিয়ার চাঞ্চল্যকর সার্ভেয়ার মালেক হত্যা মামলার পলাতক প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪, সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্প ও র্যাব-১১ সিপিএসসি নরসিংদী ক্যাম্পের একটি যৌথ আভিযানিক দল।
গ্রেফতার আজিজুল হক(৩৮) পাকুন্দিয়া উপজেলার পূর্ব কুমারপুর গ্রামের মৃত আইজ উদ্দিনের ছেলে।
বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলা সদর থেকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে মালেক হত্যা মামলার পলাতক আসামি হানিফ মিয়া (৩৬) ও কুদ্দুছ মিয়া (৩৫)কে গ্রেফতার করেছিল র্যাব।
এছাড়া পাকুন্দিয়া থানা পুলিশ মামলার আরেক আসামি উপজেলার পূর্ব কুমারপুর গ্রামের মৃত আইজ উদ্দিন ছেলে ছোটন মিয়া(৩২)কে গ্রেফতার করে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ৪ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টার কিছু পরে কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার কুমারপুর পুরাতন জামে মসজিদের সামনের এলাকার একটি জমি জমা সংক্রান্ত গ্রাম্য শালিস শেষ করে একই গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলী আ. মালেক(৭৫) বাড়ি ফেরার পথে ভিকটিমের বসত বাড়ীর উঠানে পৌছামাত্র আসামী হানিফ মিয়া(৩৬), কুদ্দুছ(৩৫) এবং এজাহারনামীয় অন্যান্য আসামিগণ পূর্বপরিকল্পিতভাবে দেশীয় মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বেআইনী জনতাবদ্ধে ভিকটিমের বসত বাড়ীর বাহির উঠানে অনধিকার ভাবে প্রবেশ করে পথের গতিরোধ করে হত্যার উদ্দেশ্যে গুরুতর জখম করে। এরপর আশপাশের সাক্ষী ও আত্মীয়স্বজন এসে ভিকটিমকে উদ্ধার করে প্রথমে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানে ভিকটিমের অবস্থা আরও আশংকা জনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। ভিকটিমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টার কিছু পরে জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত ডাক্তার ভিকটিমকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওই ঘটনায় ভিকটিমের ছেলে মো. রফিকুর ইসলাম(৩২), বাদী হয়ে পাকুন্দিয়া থানায় ১টি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
গ্রেফতার আসামিকে পাকুন্দিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিডিচ্য্যানেল ফোরকে বিস্তারিত জানিয়েছেন র্যাব-১৪, সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার মো. আশরাফুল কবির।
Leave a Reply