সহায় সম্বলহীন হতদরিদ্র কৃষক মানিক মিয়া,পরের জমিতে মুনি খেঁটে কোনোমতে চালান সংসার,নুন আনতে পানতা ফুরায়,স্ত্রী সন্তানাদি নিয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত যেন নিত্য সঙ্গী।থাকেন আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘরে। তার তিন মেয়ে আর ৪ বছরের একটি ছেলে,ছোট মেয়েটি জটিল রোগে আক্রান্ত ,টাকার অভাবে হচ্ছে না চিকিৎসা।
বলছি কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার চরকাটিহারী গ্রামের ফারজানার কথা।এইতো কদিন আগে বিয়ে হলো,গ্রামবাসীদের সহযোগিতায়। কিন্তু হঠাৎ টকবগে মেয়েটা অসুস্থ হয়ে পড়ায় শশুড়বাড়ীর লোকজন খবর নিচ্ছেন না।তার বাবাও চিকিৎসা করাতে পারছেন না,যেখানে পড়নে ভালো কাপড়,দুবেলা দুমুঠো ভাত তুলে দিতে পারেন না পরিবারের মুখে, কিভাবে করাবেন মেয়ের চিকিৎসা!
সরেজমিনে জানা যায়,মানিক মিয়ার মেজো মেয়ে সোনিয়া সেও স্বামী পরিত্যাক্তা।মানিক মিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে থেকে কাজ করেন পরের জমিতে, এতে যা উপার্জন হয় তা দিয়ে পরিবারের ৫ সদস্যের মুখে তুলে দিতে পারেন না ঠিকমত অন্ন।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের অন্যএক বাসিন্দা আব্দুর রহিম জানান,ডাক্তার বলছে ফারজানাকে উন্নত চিকিৎসা করাতে হবে কিন্তু সেই সামর্থ্য তার বাবার নেই,যদি কোন হৃদয়বান ব্যক্তি পাশে দাড়াঁন তাহলে হয়তো বেঁচে থাকা সম্ভব।
স্থানীয় রুকুন উদ্দিন জানান,প্রথমে ফারজানাকে হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ পাঠানো হয়,হাসপাতালের ডাক্তার তানভির হাসান জিকো মেয়েটির করুণ অবস্থা ও তার বাবার অসহায়ত্ব দেখে ভর্তি হবার পরামর্শ দেন এবং নিজ খরচে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরিক্ষার ব্যবস্থা করে দেন।
রোগির অবস্থা জটিল দেখে আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য শহরে নিতে বলেন।
জানা যায়, এলাকাবাসীর সহায়তায় ময়মনসিংহে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে ১৮ দিন থেকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। এলাকাবাসীর দেওয়া প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়। কিন্তু রোগির অবস্থা সেই আগের মতই।
ফারজানার বাবা মানিকের আকুল আবেদন হৃদরবান মানুষের কাছে যেন মেয়েটিকে বাঁচাতে আর্থিক সাহায্য করেন।
Leave a Reply