কিশোরগঞ্জের চাঞ্চল্যকর আলামিন হত্যার সন্ধিগ্ন এক আসামিকে গাজীপুর থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪, সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল।
গ্রেফতার মো. ফয়সাল মিয়া (২৯) কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল উপজেলার পংপাচিয়া এলাকার ফাইজুলের ছেলে।
বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি বেলা সোয়া ১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে র্যাব-১ সিপিএসসি গাজীপুর ক্যাম্পের সহায়তায় তাকে গাজীপুর জেলার গাছা উপজেলার তারগাছ বাসস্ট্যান্ড এলাকার “ক্যাফে নুর হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট” এ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে আলামিন (১৫) হত্যা মামলার তদন্তে প্রাপ্ত একজন সন্ধিগ্ন আসামি।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিডিচ্যানেল ফোরকে বিষয়টি জানান, র্যাব-১৪, সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের মিডিয়া অফিসার (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) জুয়েল চাকমা।
মামলার সূত্র ধরে তিনি আরো জানান,গত বছরের ১০ নভেম্বর সকাল অনুমান ৭ টায় ভিকটিম আলামিন (১৫) প্রতিদিনের ন্যায় অটোরিক্সা নিয়ে বাসা হতে বের হন। একই তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ৬ টায় ভিকটিমের বোন পিংকী আক্তার (২২) সর্বশেষ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভিকটিম আলামিন (১৫) এর সাথে কথা বলেন। ঐ সময় ভিকটিম তার বোনকে জানায় যে, সে ভাড়া নিয়ে নান্দাইল উপজেলার সুনামগঞ্জ বাজারে আছেন। পরবর্তীতে, ঐ দিন দিবাগত রাত অনুমান সাড়ে ৭টায় ভিকটিম আলামিন প্রতিদিনের ন্যায় অটোরিক্সা নিয়ে বাসায় না ফিরলে এবং তার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় ভিকটিমের পরিবারের লোকজন ভিকটিমকে খোঁজাখুজি শুরু করে। খোঁজাখুজির একপর্যায়ে ১১ নভেম্বর সকাল ১০টায় ভিকটিমের পরিবারের লোকজন লোকমুখে জানতে পারেন যে, কিশোরগঞ্জ সদর থানাধীন পাচধা গ্রামস্থ রাস্তার পাশে ধান ক্ষেতে একটি গলা কাটা মরদেহ পড়ে আছে। প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে ভিকটিমের বড় ভাই মো. আলমগীর হোসেন’সহ তার পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিকটিম আলামিনের মরদেহ সনাক্ত করেন এবং সেখানে থানা পুলিশসহ বহু লোকজনের সমাগম দেখতে পায়। অতঃপর কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশ ভিকটিমের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য “শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল” মর্গে প্রেরণ করে। ভিকটিমের পরিবারের ধারনা গত ১০ নভেম্বর রাত অনুমান সাড়ে ৭টা থেকে ১১ নভেম্বর সকাল অনুমান সাড়ে ৮টার মধ্যে যে কোন সময় অজ্ঞাতনামা আসামিগণ ভিকটিম আলামিন (১৫) কে জবাই করে হত্যা করে মরদেহ গুম করে তার অটোরিক্সাটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
ওই ঘটনায় ভিকটিমের বড় ভাই মো. আলমগীর হোসেন বাদি হয়ে কিশোরগঞ্জ জেলার সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা রুজুর পর র্যাব-১৪, সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্প ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং জড়িতদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে কার্যক্রম গ্রহণ করে। এরই ধারাবাহিকতায় আসামি মো. ফয়সাল মিয়াকে গাজীপুর জেলা থেকে গ্রেফতার করে।
উল্লেখ্য যে, র্যাব-১৪, সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্প গত বছরের ২৪ নভেম্বর ভিকটিম আলামিন (১৫) হত্যা মামলার তদন্তে প্রাপ্ত সন্দিগ্ধ অপর আসামি মো. হৃদয় ইসলাম অন্তর (১৯)কে গ্রেফতার করে র্যাব।
গ্রেফতার আসামি ফয়সাল মিয়াকে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
Leave a Reply