ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে মাদক কারবারিকে ধরতে গিয়ে পুলিশের উপর হামলা ও গ্রেফতার আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামিগণ রহস্যজনক কারণে এখনো অধরা।
এ ঘটনায় এস আই আক্তারুজ্জামান বাদি হয়ে ৩৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৮০/৯০জনকে অজ্ঞাত আসামি করে ঘটনার দিন একটি মামলা করা হয়। সেই মামলায় কয়েকজন জামিনে থাকলেও বাকিরা ২১ দিন পার হলেও এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন। এমনকি অজ্ঞাত ৮০/৯০জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এতে সচেতন মহলে শুরু হয়েছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়। সে ঘটনায় পুলিশের স্বার্থ জড়িত রয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এলাকাবাসী পুলিশের প্রতি প্রশ্ন তুলে বলেন, পুলিশ যে মামলার বাদি সেই মামলার আসামিগণ প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায়। এরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে এটা আশ্চর্যের বিষয়। নিশ্চয়ই এতে পুলিশের কোন অসৎ উদ্দেশ্য রয়েছে।
পুলিশের বরাত দিয়ে জানা যায় গত মাসের (২২ অক্টোবর) মঙ্গলবার থেকে বিশেষ অভিযান শুরু হয়। তারই ফলশ্রুতিতে সেদিন রাতে ৮ টার দিকে মাদক বেচা কেনা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাদা পোশাকে ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের তোতার মোড় এলাকায় অভিযান চালায়। ওই সময় ঘটনাস্থল থেকে জামাল হোসেন ও সাথে থাকা অজ্ঞাত নামা আরেকজনকে গাজাসহ আটক করে। আটক দুইজনকে থানায় নিয়ে আসার সময় আসামিগণ গ্রেফতার এড়াতে চিৎকার শুরু করে। তাদের চিৎকারে সেখানে ৩০-৪০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল জড়ো হয়ে ভূয়া পুলিশ বলে স্লোগান দিয়ে তাদেরকে ঘিরে ফেলে। পরে পুলিশ ও আটক ব্যক্তিদেরসহ ওই মোড়ের একটি ঘরে নিয়ে যায়। পরে সেখানে তাদের সঠিক পরিচয় জানতে চায়। তারপর পুলিশ তাদের পরিচয় নিশ্চিত করতে পুলিশ লেখা একটি ও আইডি কার্ড দেখানোর পরও তারা বিশ্বাস করেনি। পরবর্তীতে পুলিশের হাত থেকে জোর পূর্বক হতকড়ার চাবি নিয়ে আটক মাদক কারবারি জামাল ও তার সহকারী দুজনকেই ছেড়ে দেয় সংঘবদ্ধরা। পরে খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ থানা থেকে পুলিশের আরেকটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে আশপাশের এলাকায় অভিযান চালায়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে জুবায়ের আহাম্মেদ সিয়াম (২৪)কে পুলিশ আটক করে। আটককৃত সিয়াম উচাখিলা ইউনিয়নের আলীনগর গ্রামের বদরুল হক বাবলুর ছেলে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আশরাফ আলী বলেন, এই মামলায় অনেকেই জামিনে আছে। আর অজ্ঞাতদের মধ্য থেকে কোন গ্রেফতার নেই।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ওবায়দুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় ৩৪ জনের নাম উল্লেখ করে ৮০/৯০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। তার মধ্যে অনেকেই জামিনে আছে। এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা আরও বিস্তারিত বলতে পারবে।
Leave a Reply