কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে টাংগাইলের ঘাটাইল উপজেলার ঐতিহ্যবাহী মাটির তৈরি ঘর। উপজেলার পাহাড়ি গ্রামগুলোতে গত কয়েক বছর আগেও নজরে পড়তো মাটির ঘর। প্রচণ্ড গরম ও শীতে বসবাসের উপযোগী ছিল এই মাটির ঘর। এক সময় এই এলাকার ধনী-গরিব সবাই বসবাস করতেন মাটির ঘরে। মাটির তৈরি ঘরকে গরিবের এসি বলা হত। তবে কালের বিবর্তনে ও আধুনিকতার ছোঁয়ায় বিলুপ্ত হতে বসেছে মাটি দিয়ে তৈরি ঘর।
উপজেলার সন্ধানপুর ইউনিয়নে পাশাপাশি দুটি পরিবারের শত বছরের পুরাতন দুইটি মাটির দেয়ালের টিনের চালের বসতঘর এখনও রয়েছে।
ওই মাটির ঘরে বীর মুক্তিযোদ্ধা আনিসুর রহমান তার পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করতেন, কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়ায় এখন তারা পাকা ঘরে বসবাস করেন।
দৈনন্দিন জীবনে আধুনিকতার ছোঁয়ায় জীবনযাপনের ইচ্ছা ও আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ায় সবাই এখন মাটির ঘর ভেঙে টিন আর ইটের পাকা-আধাপাকা বাড়ি তৈরি করেছেন। তাই বিলুপ্ত হতে চলেছে অতীতের মাটির ঘর।
এলাকাবাসীর বক্তব্য,আমাদের এই এলাকায় মাটির ঘর অনেক রয়েছে। এখন এ ধরনের ঘর তৈরি করতে প্রায় ৩৫-৫০ হাজার টাকার বেশি খরচ হয়। পাহাড়ি অঞ্চলে আজও অনেক মাটির ঘর রয়েছে। নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যরা বাপ-দাদার তৈরি করা মাটির ঘর প্রতি বছর কিছুটা মাটি দিয়ে সংস্কার করে এখনো বসবাস করছেন।বৃষ্টি বা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ না হলে এসব ঘর অনেক বছর পর্যন্ত টিকে থাকে!
উপজেলার সন্ধানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন বলেন,ঘাটাইলের বিভিন্ন গ্রাম এলাকায় এখনও কিছু মাটির ঘর দেখা যায়। অনেকেই সংস্কার করে বাপ-দাদার রেখে যাওয়া ঘরে আজও বসবাস করছেন। মাটির ঘর ব্যবহার যেন বিলুপ্ত না হয় ঐতিহ্য ধরে রাখতে হবে।
Leave a Reply