ময়মনসিংহের নান্দাইলে একমাত্র সহায় সম্বল ২টি গরু চুরি হয়ে যাওয়ায় নিরাশ হয়ে পড়েছিলেন আবু সিদ্দিক (৩৭) নামে এক কৃষক। গরু দুটি ফিরে না পেলে, তিনি আর বাচঁবেন না বলে অঝোর ধারায় কাঁদছিলেন। পরে আবু সিদ্দিক চুরি হয়ে যাওয়া গরু ফেরত পাবার জন্য থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অবশেষে নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল মজিদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকস টিম ৪৮ ঘন্টার দুর্দান্ত অভিযান চালিয়ে আবু সিদ্দিকের ২টি গরুসহ মোট ৮টি চোরাই গরু উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। সেই সাথে চুরির সাথে জড়িত সন্দেহে কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের পারদাগাবতলী মহল্লার মৃতঃ আঃ হামিদ কেনুর পুত্র গোলাপ মিয়া (৪০) ও পাতালজান মহল্লার জালু মাহমুদের পুত্র রাশিদ (৪০) নামে আন্ত: জেলা চোর চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ। দ্রুত সময়ের মধ্যে চোরাই গরু উদ্ধার হওয়ায় ময়মনসিংহ জেলার পুলিশ সুপার মাছুম আহম্মেদ ভূঞা পিপিএম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌরীপুর সার্কেল মো. সুমন মিয়াসহ নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাদীসহ এলাকাবাসী।
থানা সূত্রে জানা গেছে, আবু সিদ্দিক উপজেলার মুশুল্লী ইউনিয়নের লতিবপুর গ্রামের মৃত আ: রহমানের ছেলে। গত সোমবার দিবাগত রাতে আবু সিদ্দিকের গোয়াল ঘরে থাকা দুটি গরু চুরি হয়। একই সময়ে তাঁর চাচাতো দুই ভাইয়ের গোয়াল ঘরে থাকা আরো ৪টি গরু চুরি হয়। অনেক খোজাঁখুজির পর বৃহস্পতিবার,২ মে আবু সিদ্দিক বাদী হয়ে নান্দাইল মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
এরই প্রেক্ষিতে শুক্রবার, ৩ মে থানা পুলিশ দুর্দান্ত অভিযান চালিয়ে নরসিংদী জেলার বেলাবো থানা এলাকা হইতে ৪টি গরু এবং গ্রফতার আসামিদের দেয়া তথ্যমতে কিশোরগঞ্জ সদর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪টি চোরাই গরু উদ্ধারসহ মোট ৮টি চোরাই গরু উদ্ধার করা হয়। এছাড়া গরু পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত ১টি ইঞ্জিন চালিত ভটভটি জব্দ করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় চুরি ও ছিনতাইয়ের মামলা রয়েছে। এ বিষয়ে নান্দাইলের সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ থানা পুলিশের কর্মতৎপরতাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
Leave a Reply