1. admin@bdchannel4.com : 𝐁𝐃 𝐂𝐡𝐚𝐧𝐧𝐞𝐥 𝟒 :
মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৫৩ পূর্বাহ্ন

কটিয়াদীতে শুরু হলো শতবর্ষী ঐতিহ্যবাহী কুড়িখাই মেলা 

আশরাফুল ইসলাম তুষার,চিফ রিপোর্টার।।
  • প্রকাশিত: সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ৩০৪ বার পড়া হয়েছে
ঐতিহ্যবাহী খুড়িখাই মেলার পুরনো ছবি

 

কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলার কুড়িখাই মেলার বয়স প্রায় শতবর্ষ ছুঁইছুঁই। সেই শতবর্ষ আগে থেকে ঐতিহ্য আর স্বকীয়তা নিয়ে  যুগ যুগ ধরে চলে আসছে এই মেলা। এই মেলাকে কেন্দ্র করে আশেপাশের জনপদে বিরাজ করে অন্যরকম এক উৎসবের আমেজ। বাড়িতে বাড়িতে আত্মীয়-স্বজনেরা আসেন দূরদূরান্ত থেকে। ফলে একটা বড় পরিসরে বিরাজ করে গমগমে উৎসবের আমেজ।  গোটা জেলার মানুষ আসে এই মেলায়৷  আশপাশের জেলা থেকেও মেলায় আসে অনেক মানুষ। 

সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে সপ্তাহব্যাপী চলবে এই বড় পরিসরের মেলা। কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলার সদর থেকে দশ কিলোমিটার ভিতরে মুমুদিয়া ইউনিয়নের কুড়িখাই এলাকায় প্রতি বছরই বসে এই মেলা। ঐতিহ্যগত কারণে এই মেলাটি কিশোরগঞ্জ জেলার সবচেয়ে বড় গ্রামীণ মেলা হিসেবে পরিচিত।

এই এলাকায় হযরত শাহজালাল (রহ.) এর বংশধর হযরত শাহ সামছুদ্দীন (রহ.) এর সমাধি রয়েছে। সমাধি সংলগ্ন এলাকায় প্রতি বছরের মাঘ মাসের শেষ সোমবার এই মেলা শুরু হয়। মেলাটি মূলত: হযরত শাহ সামছুদ্দীন (রহ.)’র মাজার কেন্দ্রীক। মেলা উপলক্ষ্যে অনেকেই মাজারে দান খয়রাত করে থাকেন।

সপ্তাহব্যাপী এই মেলায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সার্কাস, মৃত্যুকূপ, নাগরদোলা, পুতুল খেলাসহ রকমারি পসরা নিয়ে আসেন ব্যবসায়ীরা। বসে বিন্নি ধানের খই, কদমা, বাতাসা, গুড়, জিলাপির দোকান। এই মেলায় পাওয়া যায় বিশাল বিশাল মাছ, কাঠের আসবাবপত্র। মাজার সংলগ্ন কৃষি জমিসহ বিশাল চত্বরে বসে এই মেলা।

এই মেলার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ মাছ। দূরদূরান্ত থেকে নানা জাতের বড় বড় মাছ নিয়ে ব্যাবসায়ীরা আসেন এই মেলায়।

মেলায় বিশাল এলাকাজুড়ে বসে মাছের হাট। এই হাটে বোয়াল, চিতল, আইড়, রুই, কাতল, সিলভার কার্পস, পাঙ্গাস, মাগুর, বাঘাইরসহ নানা ধরণের অন্তত চার শতাধিক মাছের দোকান বসে পসরা সাজিয়ে। বড় বড় নানা জাতের মাছ নিয়ে মাছ বিক্রেতারা আসেন। কিশোরগঞ্জের হাওরসহ আশপাশের জেলা  নেত্রকোনা সুনামগঞ্জের হাওর ও নদী থেকে এক সপ্তাহ আগে থেকে এসব মাছ সংগ্রহ করে তারা মেলায় বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন মাছ ব্যবসায়ীরা।

মেলা উপলক্ষ্যে নতুন  পুরনো জামাইদের দাওয়াত দেয়া হয়। জামাইরা মেলা থেকে মাছ কিনে নিয়ে যান শ্বশুরবাড়িতে। কোন বাড়ির কোন জামাই কতবড় মাছ কিনে আনেন মেলা থেকে তা’ নিয়ে রীতিমত প্রতিযোগিতা চলে। এসব নিয়ে গালগপ্পো চলে অনেকদিন পর্যন্ত।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: বাংলাদেশ হোস্টিং