
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে বসতঘরে ঢুকে ডাকাতি শেষে অস্ত্রের মুখে নৈশ প্রহরীর স্ত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক হাকিম (২৫) যুবকের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার, ১ এপ্রিল দুপুরেএ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ বাদি হয়ে কটিয়াদী মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।
এর আগে সোমবার ঈদের দিন রাতে কটিয়াদী উপজেলার চাঁন্দপুর ইউনিয়নের টান চারিয়া গ্রামে ভূক্তভোগীর বসত বাড়িতে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত যুবক হাকিম (২৫) কটিয়াদী উপজেলার চাঁন্দপুর ইউনিয়নের টান চারিয়া গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, স্বামী ও দুই সন্তান নিয়ে গৃহবধূর সংসার। স্বামী দিনে চা বিক্রি করেন। রাতে নৈশপ্রহরী হিসেবে কাজ করেন। ঈদের দিন সন্ধ্যার পর পাহারা দিতে যথারীতি স্বামী ঘর থেকে বের হয়ে যান। রাত ১০টার পর গৃহবধূ তাঁর তিন ও আট বছর বয়সী দুই সন্তানকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। গৃহবধূর ঘরের ভিটে পাকা হলেও বেড়া ও চাল টিনের। রাত পৌনে দুইটার দিকে জানালা কেটে ডাকাতেরা ঘর থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যান। যাওয়ার আগে অস্ত্রের মুখে গৃহবধূকে জিম্মি করে হাকিম ধর্ষণ করেন।
ভূক্তভোগী গৃহবধূ জানান, ডাকাত দলে পাঁচ থেকে ছয়জন ছিলেন। তাঁদের একজন তাঁকে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের ঘটনা কাউকে জানালে পরে এসে প্রাণে মেরে ফেলবেন বলে হুমকি দিয়ে যান। এ কারণে তার মনে ভয় জাগে। এ জন্য ডাকাত দল যাওয়ার পর কাউকে কিছু জানাননি তিনি। ভোরে স্বামী ফিরলে তাকে ঘটনা জানান।
গৃহবধূর স্বামী বলেন, ‘ডাকাতেরা রাত তিনটার মধ্যে চলে যায়। ভোর ছয়টায় আমি বাড়িতে ফিরলে স্ত্রীর কাছ থেকে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনা জানতে পারি।
পুলিশের হোসেনপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. তোফাজ্জল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ব্যাপারে নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ বাদি হয়ে হাকিমকে আসামি করে কটিয়াদী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। আসামিকে ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য নির্যাতনের শিকার গৃহবধূকে জেলা সিভিল সার্জন অফিসে পাঠিয়ে পরীক্ষা করানো হয়েছে।
এদিকে বুধবার, ২ এপ্রিল ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত হাকিমের বিচার ও ফাঁসির দাবিতে কটিয়া উপজেলা সদরে মানববন্ধন ও প্রতিবাদসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
Leave a Reply