ময়মনসিংহের নান্দাইলে দীর্ঘ সাত মাস পর আদালতের নির্দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত জুয়েল (৩০) এর মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলনে আপত্তি জানায় নিহতের পরিবারের লোকজন। ফলে কয়েক ঘন্টা অপেক্ষা বাধ্য হয়েই ফিরে আসেন নান্দাইল উপজেলার সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্যাট মো. ফয়জুর রহমান।
এর আগে মামলার বাদি নিহতের স্ত্রীর কাছ থেকে একটি লিখিত নেওয়া হয়েছিল। সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি নান্দাইল উপজেলার আচারগাঁও ইউনিয়নের সিংদই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানাগেছে, গত ৫ই অগাস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গাজীপুরের মাওনা এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন নান্দাইলের সিংদই গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে গার্মেন্টসকর্মী জুয়েল মিয়া। ওই দিন রাতে ময়নাতদন্ত ছাড়েই তাঁর মরদেহ দাফন করা হয় নিজ গ্রামে।
পরে এ ঘটনায় ৩ সেপ্টেম্বর নিহতের স্ত্রী বাদি হয়ে গাজীপুরের শ্রীপুর থানায় শেখ হাসিনা সহ ১১০জনকে নামে ও অজ্ঞাত কমপক্ষে ২০০ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করলে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নির্দেশ দেয় আদালত।
এ মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা গাজীপুর উপজেলার শ্রীপুর থানার এসআই এ.আর.এম সাফায়েত উসমান বলেন, আদালতের নির্দেশে এসেছিলাম মরদেহ তুলতে। কিন্তু পরিবারের আপত্তির মুখে তা পারা যায়নি। নিহত জুয়েলের মা জিনুয়ারা বেগম বলেন, লাশ তুললে আর কি হবে ? তাকে তো আর পাবো না ? এখন লাশ তুললে আর সহ্য করতে পারবো না।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্যাট মো. ফয়জুর রহমান বিডিচ্যানেলফোরকে বলেন, নিহত জুয়েলের পরিবারকে কয়েক ঘণ্টা বুঝিয়েছি, কিন্তু তারা কোনভাবেই রাজি হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে চলে আসতে হলো। আদালতের নির্দেশে পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
Leave a Reply