ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় অজ্ঞাতনামা গরু চোর চক্রকে ধাওয়া করা পুলিশের একটি টহল টিমের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি রাত তিনটার দিকে উপজেলার সিংরইল ইউনিয়নের উদং নামক ফাঁকা স্থানে পুলিশের উপর এ আক্রমনের ঘটনা ঘটে। এতে করে পুলিশের কয়েকজন সদস্যসহ এক ইউনিয়ন যুবদল নেতা আহত হন।

জানা গেছে, নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ফরিদ আহম্মেদ ওই রাতে নান্দাইল উপজেলা সদরে টহল  তদারকির দায়িত্ব পালন করছিলেন। এসময় একটি গরু চোর চক্র খুব স্পীডে  পিকআপ নিয়ে নান্দাইল বাজারের ভিতর দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিল। পুলিশ তাৎক্ষনিক বিষয়টি  টের পেয়ে ওই চোর চক্রের গাড়িকে ধাওয়া করে।, চোর চক্রের গাড়িটি নান্দাইল টু হোসেনপুর রোডের দিকে পালিয়ে যাচ্ছিল। একপর্যায়ে সিংরইল ইউনিয়নের উদং নামক ফাঁকা স্থানে হঠাৎই গাড়ী থামিয়ে দেয় চোর চক্র এবং পুলিশ কোন কিছু বুঝার আগেই দ্রুত দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পুলিশ টহল টিমের গাড়ির উপর হামলা চালায়। এসময় রামদা দিয়ে ওসি’কে লক্ষ্য করে কোপ দিলে ভাগ্যক্রমে কোপটি ওসির গাড়িতে লাগে। এছাড়া গাড়ীর টায়ার কুপিয়ে পাংচার করে দেয় তারা। এসময় পুলিশ সদস্যরা দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ওসি’র দেহরক্ষী ও গাড়ির ড্রাইভার আহত হন। এসময় অফিসার ইনচার্জ ফরিদ আহম্মেদ তার গাড়ির ভিতর থেকে অস্ত্র নিয়ে বের হলে চোর চক্র অস্ত্র দেখে দৌড়ে তাদের গাড়িতে উঠে দ্রুত পালিয়ে যায়।

এ ঘটনার পরপরই ওসির ফোন কলে স্থানীয় ইউনিয়ন যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর আলম মোটরসাইকেল নিয়ে চোর চক্রের পিছু ধাওয়া করলে চোরচক্র ফের গাড়ি থামিয়ে তাকেও এলোপাথারি মারধরসহ মোটরসাইকেলটি কুপিয়ে ভাঙ্গচুর করে ও তার মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

আহত জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পিকআপটি আটকাতে সক্ষম হলেও ওই সময় চোরচক্র দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার ওপরও হামলা চালায়।

এ বিষয়ে নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ফরিদ আহম্মেদ বলেন, এসমস্ত অপরাধীদেরকে কঠোরভাবে দমন করতে জনগণকে সহযোগিতা করতে হবে। তাড়াহুড়ার মধ্যে আমার অস্ত্র লক থাকায় চোরেরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় এবং আমার পুলিশ সদস্যরা আহত হয় ও গাড়ি ক্ষতি হয়েছে। তবে ঘটনার কিছুক্ষণ পরেই আরেকটি অভিযান চালিয়ে ট্রান্সফর্মার চোর চক্রের চারজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় তারা জড়িত কিনা এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।