কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলায় ফসলি জমির উপরিভাগের টপ সয়েল থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটা হচ্ছে। স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করে বলেন,গুণধর গ্রামের শামীম এবং কদিমমাইজহাটি গ্রামের মানিক মিয়া নেতৃত্বে এসব মাটি কাটা হচ্ছে। এই অপকর্মের ফসলি জমি হারাচ্ছে তার স্বাভাবিক উর্বরতা। মাটি কাটার প্রতিবাদ করলে তার অনুসারীরা এলাকার লোকজনকে মারধর ও বাড়ি থেকে তুলে নেয়ার হুমকি দিচ্ছেন।
করিমগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার মুকশেদুল হক বলেন,কৃষি জমির উপরের অংশের মাটি কাটা কৃষি জমির জন্য একটি হুমকি। মাটির বিভিন্ন স্তরের মধ্যে উপরের অংশ,যেখানে গাছ পালা জন্মে। এ অংশটিকে টপ সয়েল বলা হয়।কৃষির জন্য উপযোগী এক ইঞ্চি টপ সয়েল তৈরী হতে ৫ শ’ বছরের বেশি সময় লাগে। ফসলি জমির উপরিভাগের ১০থেকে ১২ ইঞ্চির মধ্যে মাটির প্রায় সকল জৈব উপাদান থাকে।সেই মাটি কাটা হলে জমির জৈব উপাদান চলে যায়। এতে জমির স্থায়ী ক্ষতি হয়। ফসলি জমির মাটি কাটা তাই বেআইনি।
শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি সকাল ১১ টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,উপজেলার বড় হাওর গুণধর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে কৃষি জমিতে রাখা হয়েছে মাটি কাটার ভেকু,এক্সেভেটর (খননযন্ত্র)।মাটি আনা-নেওয়া করা হয় ট্রাক্টর,ট্রলি দিয়ে। হাওরের বিভিন্ন ফসলি জমিতে গভীর গর্ত করে মাটি কাটা হয়েছে। এ সময় রহিদ মিয়া নামের একজন ট্রাক্টর চালককে মাটি নিতে দেখা যায়।
তিনি বলেন,তারা মাটি আনা নেওয়া করেন। এ জন্য প্রতি ট্রাক্টর বোঝাই মাটির ক্রেতা ৮শ’ টাকা দেন।
বালু মহল ও মাটি ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) আইন অনুযায়ী,ফসলি জমি বা উদ্ভিদ বিনষ্ট হওয়ায় আশঙ্কা থাকলে, সেখান থেকে বালু বা মাটি তোলা যাবে না। অভিযোগের বিষয়ে মানিক মিয়া জানান,তিনি মাটি ব্যবসায় জড়িত নন। তবে মাটি কাটার যন্ত্র ও কাজে তার শেয়ার আছে। এতে তার কিছুটা লাভ হয়।
করিমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) (অতি: দায়িত্বে) তাহমিনা আক্তার বলেন,অবৈধ মাটি কাটার বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
Leave a Reply