
নির্বাচন না সংস্কার এমন যুক্তিতর্ক ও আলোচনায় বেশ সরগরম রাজনৈতিক অঙ্গন। দলগুলো বলছে সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া যা নির্বাচিত সরকারই করতে পারে সুনির্দিষ্টভাবে। বিএনপির নেতারা বলছেন, সংস্কার করতে গিয়ে যেন নির্বাচন বিলম্বিত না হয়। দলটি ক্ষমতা নয় জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে চায়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জাতীয় সরকার গঠন করে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়ন করবে।
এদিকে, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এ সময় তিনি বলেন, অভ্যুত্থানের পর ইসলামী ব্যাংক দখল ও বিভিন্ন লুটপাটে কারা জড়িত, তা জানে দেশের মানুষ। একাত্তরে তাদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন রিজভী।
রাজধানীর নয়াপল্টনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির মতবিনিময় অনুষ্ঠানে যুক্ত হন দলটির সিনিয়র নেতারা। এসময় গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতের বিষয়ে সবাই একমত পোষণ করেন।
রাজনৈতিক বিটের সাংবাদিকদের সঙ্গে এ মতবিনিময়ে গণমাধ্যমকেও পেশাদারিত্ব বজায় রাখতে আহ্বান জানান বিএনপির নেতারা।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম বলেন, ‘এই সরকারের এখন প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত নির্বাচন দেয়া। সংস্কার করতে বিএনপি মানা করেনি বরং তাদের সহযোগিতা করছে। প্রয়োজনীয় সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে। না হলে পতিত আওয়ামী লীগ আবারও মাথাচাড়া দিবে। তাই দলটিকে আর সুযোগ দেয়া যাবে না।’
Leave a Reply