ত্রিশাল মহিলা ডিগ্রি কলেজের এডহক কমিটি গঠন নিয়ে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে গুরুতর অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
৫ সদস্যের এডহক কমিটির গঠনের জন্য তিন সদস্য পদাধিকার বলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ দিয়েছেন। দাতা ও শিক্ষক প্রতিনিধি ২টি সদস্যপদ কলেজের শিক্ষকদের সাথে আলোচনা এবং প্রত্যক্ষ নিবার্চনের মাধ্যমে একজন শিক্ষক সদস্য অধ্যক্ষ মনোনীত করবেন। কিন্তু অধ্যক্ষ মো. সেলিমুল হক তরফদার নিজের পদকে শক্তিশালী করতে নিজের স্ত্রী উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি, সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম আনিছুজ্জামানের ছোট বোন জাহিদা ইয়াসমীনকে দাতা সদস্য ও তার একান্ত অনুগত শিক্ষক, যাকে তিনি বাউবি ত্রিশাল এইচএসসি কেন্দ্রের সমন্বয়কারী বানিয়েছিলেন সেই সহকারী অধ্যাপক জহির আহমেদকে শিক্ষকদের কাছ থেকে কোন মতামত না নিয়েই শিক্ষক প্রতিনিধি বানিয়েছেন। যদিও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যক্ষ নিবার্চনের মাধ্যমে শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে হয়।
এ বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় এলাকায় তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই এ নিয়ে সমালোচনা-আলোচনা ভাইরাল হয়। শুধু কমিটি নয় অধ্যক্ষ মো. সেলিমুল হক তরফদারের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। ডেমোনেস্টটর পদ থেকে প্রভাষক তারপর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এমনকি শেষ পর্যন্ত অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। তাকে নিয়োগ দেন তারই স্ত্রীর বড় ভাই তৎকালীন যুবলীগের ত্রিশাল উপজেলা শাখার সভাপতি এবিএম আনিছুজ্জামান। শুধু তাকেই নয় কলেজের নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যক্ষের ছোট ভাই জাফর ইকবাল। নিয়োগ পেয়েছেন এবিএম আনিছুজ্জামানের চাচাতো বোনের জামাই কামরুজ্জামান। বাউবির পরীক্ষা ও ক্লাশ নেওয়ার জন্য কলেজের শিক্ষক থাকলেও বাইরে থেকে মহিলা এনে তাদেরকে ত্রিশাল মহিলা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক দেখিয়ে টিউটর হিসেবে বিল উত্তোলন করতেন তিনি। ত্রিশাল মহিলা ডিগ্রি কলেজের স্টাফ কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম জানান, অধ্যক্ষ মো. সেলিমুল হক তরফদার নিজেই দাতা সদস্য ও শিক্ষক প্রতিনিধি মনোনীত করেছেন। আমরা শিক্ষকরা এ ব্যাপারে কিছুই জানিনা।
অধ্যক্ষ মো. সেলিমুল হক তরফদার জানান, আমি নিয়ম মেনেই সব কিছু করেছি। স্ত্রীর সদস্য নিয়োগকে তিনি কোন অনিয়ম মানতে নারাজ। শিক্ষকদের সাথে কথা বলেই শিক্ষক প্রতিনিধি নিয়োগ করেছি বলেও জানান তিনি।
Leave a Reply