ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় ধানের বীজতলা তৈরীকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
হত্যার ঘটনায় নিহত লাল মিয়ার সহোদর ভাই অসিম মিয়া বাদী হয়ে একই গ্রামের মিজানুর রহমান, হযরত আলী ওরফে নবী হোসেন, গিয়াস উদ্দিন, জালাল উদ্দিন, মিতু আক্তার, শিরিনা আক্তার, কুলসুম আক্তার, জামাল উদ্দিন, শফিকুল ইসলাম, ফজলু মিয়া, নজরুল ইসলাম, সোহাগ মিয়া ও আমির উদ্দিনসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরা ৪/৫জনকে আসামি করে ২০ জুন নান্দাইল মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, গত বুধবার ১৯ জুন সকালে উপজেলার খারুয়া ইউনিয়নের মাটিকাটা গ্রামে ধানের বীজতলা তৈরীকে কেন্দ্র করে লাল মিয়া (২৮) নামে এক যুবক তাঁর আপন চাচাতো ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে খুন হন।
এ ঘটনায় মিতু আক্তার (১৯) নামে একজনকে আটক করা হলেও ঘাতক চাচাতো ভাই মিজানুর রহমান (২৩) পলাতক রয়েছেন। নিহত লাল মিয়া মাটিকাটা গ্রামের সিরাজ উদ্দিন ওরফে শেশু মিয়ার ছেলে এবং হত্যাকারী মিজানুর রহমান নিহতের আপন চাচা গিয়াস উদ্দিনের ছেলে।
থানায় দায়ের করা মামলা সূত্রে জানা গেছে, বুধবার, ১৯ জুন সকালে লাল মিয়া তার বাবাকে নিয়ে বাড়ির পাশেই নিজস্ব জমিতে আমন ধানের বীজতলা প্রস্তুত করছিলেন। এ সময় আসামিরা পূর্বশত্রুতার জেরে আক্রোশে পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জমির আইল বেশি কেটে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে ধরে লাল মিয়া ও তাঁর পিতা সিরাজ উদ্দিনের উপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে গিয়াসউদ্দিনের ছেলে মিজানুর রহমানের ধারালো ছুরি আঘাতে লাল মিয়া, তাঁর বাবা সিরাজ উদ্দীন ও ভাই সাইফুল ইসলাম গুরুতর রক্তাক্ত আহত হন। পরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় পার্শ্ববর্তী গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক লাল মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন এবং সিরাজ উদ্দীন ও সাইফুলের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। মামলার বাদীসহ এলাকাবাসী লাল মিয়ার হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিার দাবী জানিয়েছেন।
নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবদুল মজিদ বলেন, এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা নথিভূক্ত হয়েছে। একজন আসামিকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে, বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
Leave a Reply