1. admin@bdchannel4.com : 𝐁𝐃 𝐂𝐡𝐚𝐧𝐧𝐞𝐥 𝟒 :
শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:০৫ পূর্বাহ্ন

পাকুন্দিয়ায় ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে  কাজে ব্যস্ত কামার শিল্পীরা

এম এ হান্নান পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি।।
  • প্রকাশিত: রবিবার, ৯ জুন, ২০২৪
  • ১১০ বার পড়া হয়েছে

 

কিশোরগঞ্জে পাকুন্দিয়ায় ঈদুল আজহাকে ঘিরে কামার শিল্পীদের যেন দম ফেলার সময় নাই বললেই চলে। রাতদিন ব্যস্ততা সময় পার করছেন তারা। আগামী ১৭জুন সোমবার  মুসলমানদের পবিত্র ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হবে। বছর ঘুরে বছর আসে, আসে ঈদুল আজহাও। আর বছরে এই একটি সময়ই থাকে যখন তারা ভালো সময় পার করেন।

কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে চারদিকে আনন্দ উল্লাস, উৎসব ও কোরবানির গরু কেনার ধুম পড়ছে। কোরবানির ঈদের দিন আল্লাহ নৈকট্য লাভের আশায় ত্যাগ করা পশুকে জবাই করতে প্রয়োজন লোহার ছুরি, চাকু,হা, চাপাতি ইত্যাদি। তাইি এখন লোকজন  ছুটছেন কামারশালায়।

সারাবছর ব্যস্ততা না থাকলেও কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে অপরিহার্য ছুরি, দা’সহ বিভিন্ন জিনিস তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন পাকুন্দিয়া উপজেলা, পৌরসভাসহ বিভিন্ন হাট বাজারের কামার শিল্পীরা। দিন-রাত তারা তৈরি করছেন কোরবানির অনুসঙ্গ নানা যন্ত্রপাতি। পাকুন্দিয়া পৌরসভার বিভিন্ন  এলাকায় প্রায় দোকানেই কামার শিল্পীদের কর্মব্যস্ততা চোখে পড়ার মত। তারা গরম লোহা পিটিয়ে তৈরি করছেন দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার্য যন্ত্রপাতিসহ পশু কোরবানিতে ব্যবহৃত নানা ধরণর ছুরি, চাপাতি, দা, বটিঁ, দামা। এই কামার শিল্পীদর বেশিভাগই হিন্দু সম্প্রদায়ের।

এ ঈদকে সামনে রেখে পাকুন্দিয়া উপজেলা ও পৌরসভার বিভিন্ন হাট কোরবানি পশু ক্রয় বিক্রয় যেন উৎসব পরিণত হয়েছে। সেইসাথে সাথে জমে উঠেছে কামার শিল্পীদর কর্মব্যস্ততা। কামারের দোকান কেউ আসছেন দা, ছুরি, চাপাতি,  বটিঁ ক্রয় করতে আবার কেউ আসছে পুরাতন দা, ছুরি,সহ লোহার জাতীয় নানা বিভিন্ন যন্ত্রপাতি শান করার জন্য।

এবার অন্যান্য চেয়ে লোহার তৈরী এসব জিনিসের দাম নেয়া হচ্ছে প্রায় দ্বিগুণ। এ বিষয়ে কামার শিল্পীরা জানান, লোহার দাম বাড়ার কারণে এবার এসব জিনিসের দাম বেশী পড়ছে।  

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, পাকুন্দিয়া উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ১টি পৌরসভার মধ্যে প্রায় ২০/২৫ টি হাট রয়েছে। ওই হাটগুলোতে কামার শিল্পীরা কারবানির পশু জবাইয়ের জন্য ছুরি, দা, চাপাতি, বটিঁ, দামাসহ দিন রাত তরি করছেন নানা যন্ত্রপাতি । পৌরসভাসহ গ্রামগঞ্জের এসব হাটগুলো হলো  কলাদিয়া,পুলেরঘাট, কালিয়া চাপড়া পুরাতন বাজার, কোদালিয়া, পাকুন্দিয়া  পৌর সদর, হোসেন্দী, নারান্দি, মির্জাপুর, মঠখলা,বটতলা, জাঙ্গালিয়া, বুরুদিয়া, পাকুন্দিয়া পৌর সভা আলুর স্টোর, আসুতিয়া।

কামার শিল্পীদের অনেকেই পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া এ পেশায় রয়েছেন। ঐতিহ্যের টানে তারা অন্য পেশায় যেতে চাননা। তাই সারা বছর তেমন কাজ না থাকলেও তারা অপেক্ষায় থাকেন মুসলমানদের এ ধর্মীয় উৎসবের জন্য। কামার শিল্পী সৈয়দুজ্জান জানান, বছরের বেশিভাগ সময় কাজ না থাকায় অলস দিন কাটাতে হয়। ফলে ওই সময় কোন উপার্জন না থাকায় বহু কষ্ট ছেলেমেয়ে নিয়ে দিন যাপন করতে হয়। ঈদুল আজহা এলেই হাত কাজ বেড়ে যায়। বছর ছয় মাস কাজ করে যা উপার্জন হয়,  ঈদুল আজহার সময় প্রায় দ্বিগুণ উপার্জন দিয়েই তাই তাদের সারা বছর পার করতে হয়। তাই ঈদুল আজহা উপলক্ষে সারা বছরের ঘাটতি পোষাতে নিরলস পরিশ্রম করে বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি তৈরি করছেন কামার শিল্পীরা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: বাংলাদেশ হোস্টিং