কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে খামার দেহুন্দা একাডেমির পরিচালক ও প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আবদুর রউফকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, দুপুরে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে শিক্ষক-অভিভাবকের ব্যানারে ঘন্টাব্যাপি এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে খামার দেহুন্দা একাডেমির সকল শিক্ষক-অভিভাবক, ছাত্র-ছাত্রীসহ পাঁচ শতাধিক এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
খামার দেহুন্দা একাডেমির পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ মানববন্ধনে অভিযোগ করে বলেন, খামার দেহুন্দা একাডেমিটি ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে অদ্যাবধি আমার প্রতিষ্ঠানে ওই হযরত আলী গংরা দিন-দুপুরে চার-চার বার সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে। এমনকি রাতের আধাঁরে প্রতিষ্ঠানে স্থাপিত শহিদ মিনারটি ভেঙ্গে রেখে যায় তারা। পরে আইনের আশ্রয় নিলে আবারও সুরাফ উদ্দিনের নির্দেশে হযরত আলী, রাসেল, সবুজ, ইয়াসমিন, জেসমিন, সরুফা, শাহনেওয়াজ ও আমেনা একযোগে আমার উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এরই প্রেক্ষিতে তাদের নামে আমি বাদী হয়ে করিমগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করি। যার মামলা নং- ০১/৩৯।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, মামলা দায়েরের পর থেকে আসামি হযরত গং আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে। আমার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালালে তাদের ৪ লাখ টাকা চাঁদা দাবি ও তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা তুলে নিতে বলে। দেহুন্দা ইউপি চেয়ারম্যান এম এ হানিফ ও স্থানীয় ইউপি সদস্য সবুজ মিয়াকে সঙ্গে নিয়ে এর প্রতিবাদ করলে গতকাল সোমবার সকালে হযরত আলী গং আবারও আমার উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায় এবং আমাকে হত্যা ও স্কুল বন্ধের হুমকি দেয়।
দেহুন্দা ইউপি চেয়ারম্যান এম এ হানিফ খামার দেহুন্দা একাডেমিতে বিভিন্ন সময় ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসী হামলার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আসামিরা খুবই দাঙ্গাবাজ ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। তাই ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরেয়ে আনতে এ ধরনের হামলা বন্ধ করতে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে আরও উদ্যোগী হওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
Leave a Reply