সাজা ঘোষণার পর দীর্ঘ ৮ বছর পালিয়ে থেকেও আইনের হাত থেকে রেহাই পেলেন না একটি হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি কুলিয়ারচরের সজল (৪৫)।
র্যাব-১৪, সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্প ও র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সজলকে গাজীপুর জেলা থেকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতার সজল কুলিয়ারচর উপজেলার পলানপুর জালবাড়ি এলাকার মো. মুসলেমের ছেলে।
শুক্রবার, ২৯ মার্চ রাত ৮টার দিকে তাকে গাজীপুর জেলার ভাউয়াল কলেজ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলা সূত্রের বরাত দিয়ে র্যাব-১৪, সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার মো. আশরাফুল কবির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিডিচ্যানেল ফোরকে জানান, ২০০৭ সালের নভেম্বর মাসে গাজীপুর জেলার টঙ্গী থানা এলাকায় ভিকটিম মো. সফর উদ্দিনের কাছ থেকে টাকা ও মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনার সময় গ্রেফতার আসামি সজল(৪৫) অন্যান্য আসামিদের সহযোগীতায় ভিকটিমের কাছ থেকে টাকা ছিনতাই করে নিয়ে ভিকটিমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। ওই ঘটনায় টঙ্গী থানায় ১টি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি বিজ্ঞ আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীত প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত গত ২০১৬ সালে মামলার আসামি সজল(৪৫)কে যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করেন এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। সাজা থেকে বাঁচতে আসামি সজল কিশোরগঞ্জ ছেড়ে বিভিন্ন জায়গায় তার নাম ও ঠিকানা পরিবর্তন করে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। তাকে গ্রেফতারের জন্য র্যাব-১৪, সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্প নিরবিচ্ছিন্ন গোয়েন্দা নজরদারী শুরু করে এবং সর্বশেষ গাজীপুর সদর থানা এলাকায় তার অবস্থান নিশ্চিত করে এবং তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
এর আগে গত ১৮ মার্চ মামলার অপর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. আলমকে ঢাকা থেকে র্যাব-১৪, সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গ্রেফতার করে।
গ্রেফতার আসামি সজলকে কুলিয়ারচর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
Leave a Reply