কিশোরগঞ্জের তাড়াইলের চাঞ্চল্যকর উজ্জ্বল মিয়া হত্যা মামলার গ্রেফতারী পরোয়ানাভূক্ত দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪, সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল।
গ্রেফতার দুই আসামির মধ্যে আকরাম হোসেন ওরফে হাছু(২৯) তাড়াইল উপজেলার দিকদাইড়(মোল্লাপাড়া) এলাকার ফারুক আহম্মেদ ওরফে চন্দু মেম্বারের ছেলে ও আক্কাস মিয়া(৩৫) একই এলাকার মো. শহীদ মিয়ার ছেলে।
সোমবার, ১৮ মার্চ রাত সোয়া নয়টার কিছু আগে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯ এর সহযোগিতায় অভিযান চালিয়ে আকরাম হোসেন হাছুকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার কাঁঠালিয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
একই দিন বিকেল ৫টায় অভিযান চালিয়ে জেলার নিকলী উপজেলার জারইতলা এলাকা থেকে মামলার অপর আসামি আক্কাস মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, জমি-জমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধের জের ধরে গত ১৩ মার্চ সকাল অনুমান সাড়ে ৯টার দিকে ভিকটিম উজ্জল মিয়া(৩৫) মসজিদ থেকে বাড়ি ফেরার পথে ১নং আসামি আকরাম হোসেন ওরফে হাছু(২৯) এর বসত বাড়ীর সামনে কাঁচা রাস্তায় পৌঁছা মাত্রই আগে থেকে সকল আসামীগণ রাম দা, বল্লম, শাবল,লোহার রড ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে একই উদ্দেশ্যে বে-আইনী জনতাবদ্ধে ভিকটিমের পথরোধ করে। ২নং ও ৪নং আসামির হুকুমে ১নং আসামি আকরাম হোসেন ওরফে হাছু(২৯)’ হাতে থাকা ধারালো রামদা দিয়ে ভিকটিমকে খুন করার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ মেরে রক্তাক্ত জখম করে এবং অন্যান্য আসামিগণ তাকে এলোপাথারী মেরে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের আত্মীয়স্বজন ও সাক্ষীগণ ভিকটিমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য তাড়াইল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিমকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওই ঘটনায় ভিকটিমের ছোট ভাই সোগাগ মিয়া(২৯) বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল থানায় ১টি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এরই প্রেক্ষিতে পলাতক দুই আসমিকে গ্রেফতার করা হয় বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিডিচ্যানেল ফোরকে জানিয়েছেন, র্যাব-১৪, সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার মো. আশরাফুল কবির।
মামলার বাকি আসামিদের গ্রেফতারে র্যাবের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
Leave a Reply