ময়মনসিংহের নান্দাইলে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে বাড়িতে আত্মীয়-স্বজনদের সাথে ঈদ উদযাপন করার কথা ছিলো এসআই ফজলুর রহমান কবিরের।
শুক্রবার, ২৮ মার্চ তিনি বাড়িতে ফিরেছেন ঠিকই তবে মরদেহবাহী ফ্রিজিং গাড়িতে করে মৃত অবস্থায়। গাড়িতে তাঁর মরদেহ দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ছেন স্বজনসহ প্রতিবেশীরা। এলাকায় যেন শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
জানা গেছে, এসআই ফজলুর রহমান কবির নান্দাইল উপজেলার মেরেঙ্গা গ্রামের মৃত শুনু মিয়ার কনিষ্ঠ ছেলে। ২০০৬ সালে পুলিশের কনস্টেবল পদে যোগাদান করেন কবির। এরপর পদোন্নতি পেয়ে সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই)ও ৬ বছর আগে উপ পরিদর্শক (এসআই) হন। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত ঢাকার অদূরে কাছে সাভার থানায় এসআই হিসাবে কর্মরত ছিলেন। স্ত্রী মেঘলা, মেয়ে আয়াত (৩) ও ছেলে আলভি (১৮ মাস) সহ মা শরবানুকে নিয়ে ঢাকার সাভারে বসবাস করতেন তিনি। পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন করতে শুক্রবার বাড়িতে আসার কথা ছিল।
কিন্তু গত বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) সাভার থানা এলাকায় পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত একটি ভ্রাম্যমান আদালতে অন্যদের সাথে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। দায়িত্ব পালন শেষে দুপুর ২ টার দিকে স্থানীয় একটি পেট্রোল পাম্পে রাখা তাঁর বাইকটি নিয়ে থানায় ফেরার পথে বিপরীত দিক থেকে একটি বালুবাহী ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে মারাত্মকভাবে আহত হন। পরে মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে দুটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বিকাল ৫ টা ২০ মিনিটে শ্যামলীর একটি স্পোশালাইজড হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর সমস্ত আনুষ্ঠানিকতা শেষে সাভার থানার পাঁচজন পুলিশ মরদেহবাহী একটি ফ্রিজিং গাড়িতে করে মরদেহ নিয়ে ওই দিন শুক্রবার ভোরে কবির গ্রামের বাড়িতে পৌঁছেন মৃত অবস্থায়।
সিভিল এভিয়েশনে কর্মরত নিহত কবিরের বড় ভাই হারুন অর রশিদ জানান, সাভার থানা পুলিশ সাথে সাথেই তাদেরকে ঘটনাটি জানিয়েছে। তিনি জানান, সবাই এসেছে তবে আমার আদরের ছোট ভাইটি মৃত অবস্থায় ফ্রিজিং গাড়িতে করে-এ কথা বলেই তিনি হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করেন। কবিরের বাড়িতে আগত সাভার থানায় কর্মরত এ.এস.আই নেসার উদ্দিন জানান, চালকসহ ঘাতক ট্রাকটি আটক করা হয়। নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি )আনোয়ার হোসেন বিডিচ্যানেলফোরকে জানান, জানাজায় অংশগ্রহণসহ সব ধরনের সহযোগিতা করতে এসআই সালামের নেতৃত্বে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply