ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নে জমি সংক্রান্ত মামলায় আদালত থেকে জমির স্বত্বাধিকার ও দখলদারী ব্যক্তি হারিছ মিয়ার পক্ষে দুইবার রায় দেয় বিজ্ঞ আদালত। কিন্তু রায় পাওয়ার পরেও একই গ্রামের প্রতিপক্ষ জামাল উদ্দিন গং হাইকোর্টের নিষেধজ্ঞা অম্যান্য করে জোরপূর্বক জমি দখলে নেওয়ার জোর পাঁয়তারা চালিয়ে যাচ্ছে।
গত মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি সকালে এনিয়ে জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের কড়ইকান্দি গ্রামে হারিছ মিয়ার প্রতিপক্ষ মৃত ফিরোজ আলীর ছেলে জামাল উদ্দিন, তার ছেলে আলমগীর, শেখ সাদী, জাহাঙ্গীর ও মৃত শামছুদ্দিনের ছেলে শাহিন, হাসেন গং দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে অতর্কিতে বাড়ি-ঘরে হামলা চালায়। এতে হারিছ মিয়া তাদের বাধা দিতে গেলে জামাল উদ্দিন গং তাকে বেধড়ক মারধর করে। ওই হামলায় হারিছ মিয়ার পরিবারের আরো ৪/৫ জন আহত হয়। আহতরা নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেয় এবং হারিছ মিয়া গুরুতর আহত হওয়ায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। কিন্তু প্রতিপক্ষ এতেই ক্ষান্ত হয়নি, বরং ঘটনার পরদিন বুধবার পুনরায় হারিছ মিয়ার বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে একটি পুরাতন বসতঘর ভাংচুর করে ঘরের টিনের চাল, বেড়া ও খুঁটি, ঘরের ভিতরে থাকা স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাসহ মূল্যমান মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় হারিছ মিয়ার ছেলে মিজানুর রহমান বাদি হয়ে বুধবার নান্দাইল মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ বিষয়ে মিজানুর রহমান বলেন, জাহাঙ্গীরপুর মৌজায় আর.ও.আর নং ৯২৫, দাগ নং ৩৫৮৩ ও ৮৪৮৭ এর ৪৭ শতাংশের কাত ২৫ শতাংশ জমি আমার বাবা সাফ কাওলামূলে ক্রয় করে ভোগ দখল করে আসছেন। এ নিয়ে জামাল উদ্দিন গং আদালতে মামলা দায়ের করলে একাধিকাবার আমাদের পক্ষে রায় আসে। এছাড়া তারা পুনরায় আপিল করায় তা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে ও বর্তমানে জমিতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তারপরেও তারা জোরপূর্বক জমি দখলে নেওয়ার জন্য সন্ত্রাসীকর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। হারিছ মিয়া জানান, বর্তমানে জামাল উদ্দিন গং আমাদেরকে বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদের জন্য প্রাণনাশসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ জামাল উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply