1. admin@bdchannel4.com : 𝐁𝐃 𝐂𝐡𝐚𝐧𝐧𝐞𝐥 𝟒 :
সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:০৯ অপরাহ্ন

ত্রিশালে এক ধান ক্ষেতে লাল শাপলা ফুলের সমাহার 

মো. মনির হোসেন স্টাফ রিপোর্টার, ত্রিশাল, ময়মনসিংহ।।
  • প্রকাশিত: সোমবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৭৩ বার পড়া হয়েছে

 

একদিকে নতুন ধানের ম ম গন্ধ, অন্যদিকে শাপলা ফুলের সৌন্দর্য। এ যেনো এক ঢিলে দুই পাখি শিকারের মতো দারুণ উপভোগ্য  অবস্থা। ময়মনসিংহের ত্রিশালের একটি ধান ক্ষেতে এবার এমন সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ তৈরি হয়েছে। 

বর্তমানে কৃষকগণ তাদের সোনালী ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আমন ধানের ফলন ভালো হওয়ায় নবান্নের আনন্দে ভাসছে কৃষক-কৃষাণীর মন। এরইমধ্যে অর্ধেকের বেশি ফসল মাড়াই শেষ হয়েছে। মাড়াইয়ের বাকি যে অংশটুকু রয়েছে তার মধ্যে উপজেলার মঠবাড়ী ইউনিয়নের অলহরী গ্রামের এক ধান ক্ষেতে জমে থাকা পানিতে ধান গাছের ফাঁকে ফাঁকে উঁকি মেরে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে লাল শাপলা ফুল। এই ফুলের সৌন্দর্য মন কেড়েছে কোমলমতি শিশুদের। প্রতিদিন আশেপাশের শিশুরা ফুল তুলে নিয়ে যাচ্ছে তাদের বাড়িতে। ফুল দেখতে শিশুদের পাশাপাশি বড়রাও আসছে। 

বুধবার সকালে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, অলহরী গ্রামের রাশেদ আহমেদ একটি জমিতে ধান চাষ করেছেন। পুরো জমিতে ধানের ফলন ভালো হলেও প্রায় অর্ধেক জমিতেই ধানের গাছের ফাঁকে ফাঁকে জন্মেছে লাল শাপলার অসংখ্য গাছ। এ যেনো ফুলের রক্তিম আভার হাতছানি। প্রতিদিনই ফুল তুলতে শিশুরা নেমে পড়ছে ধানের জমিতে। মাঝে মাঝে বড়রাও আসছে ফুল দেখতে। ক্যামেরায় স্মৃতি বন্দী করে রাখতে আবার কেউ কেউ নেমে পড়ছেন কাদামাখা পানিতে। এই ফসলী জমিতে এর আগে কখনো এমন ফুল দেখেনি কেউ।

পাশের একটি ক্ষেতেই ধান কাটছিলেন কৃষক আবুল মনসুর। তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমি বিগত কয়েকদিন ধরেই এখানে ধান কাটছি। ধান ক্ষেতে এতো বেশি ফুল ফুটতে আমি আগে কখনো দেখিনি। ফুলের সৌন্দর্য দেখতে কাক ডাকা ভোর থেকেই শিশুরা আসছে। সাথে তাদের অভিভাবকরাও থাকছেন। শিশুরা ফুল তুলে অনাবিল আনন্দের সাথে তা বাড়ি নিয়ে যাচ্ছে। নিজ হাতে ফুল তুলতে পেরে তারা ভীষণ খুশি। তবে এভাবে নিয়মিত ফুল তুলে নিলে দীর্ঘ সময় সৌন্দর্য উপভোগে বঞ্চিত হবে মানুষ।’ 

ফুল তুলতে আসা স্থানীয় জয়দা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী সোমা আফরিন বলে, ‘ধান ক্ষেতে অনেক শাপলা ফুল ফুটেছে। আমার ছোট ভাইকে নিয়ে ফুল দেখতে আসছি। আমার ছোট ভাই আমাকে কয়েকটি ফুল তুলে দিল। ফুল আমার সবসময় পছন্দ, দেখে অনেক ভালো লাগছে। এর আগে আমার বান্ধবীরাও এসেছিল এখানে।’

তোফাজ্জল হোসেন বাদল বলেন, ‘বর্তমানে শিশুরা নির্মল আনন্দ বিনোদনের সুযোগ কম পায়। আমাদের সময় বিল-ঝিল, পুকুরে অসংখ্য শাপলা ফুল ফুটে থাকতো। এখন তেমন দেখা যায় না। এখানের একটি ধান ক্ষেতে কয়েকশ’  ফুল সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে। এটা দেখে আশেপাশের শিশু ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এক ধরনের আগ্রহ তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে ছোট ছোট কোমলমতি শিশরা ফুল তুলতে নিজেরাই নেমে পড়ছে ধান ক্ষেতের কাদামাখা পানিতে। পুকুর বা অন্যকোন জলাশয় হলে যেটা সম্ভব ছিল না। পাশে দাঁড়িয়ে থেকে দাদা হিসেবে আমিও নাতি-নাতনীদের সেই সুযোগ করে দিয়েছি।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: বাংলাদেশ হোস্টিং