
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার ব্যস্ততম যানবাহন স্ট্যান্ড নান্দাইল চৌরাস্তা,কানুরামপুর বাজার, নান্দাইল জলসিড়ি বাসস্ট্যান্ড ও নান্দাইল পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীদের উপর চলছে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের সন্ত্রাস। ঈদ বকশীশের নামে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে যাত্রীদের কাছ থেকে। ঈদের ছুটি শেষ তাই কর্মস্থলে যেতে হবে। নিশ্চিত এ কথা ভেবে আর কোন উপায় না পেয়ে অতিরিক্তি ভাড়া দিয়েই যেতে হচ্ছে বিভিন্ন গন্তব্যস্থানে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে ঈদের আগে ও ঈদ পরবর্তী সময়ে বারংবার অভিযান চালিয়ে নিয়ন্ত্রণ আনতে পারছেন উপজেলা প্রশাসন। ফলে একটি অসাধু চক্র লাভবান হওয়ার আশায় যাত্রীদের অসহায়ত্বের সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা।
জানা গেছে, নান্দাইল চৌরাস্তা থেকে ময়মনসিংহ বাসস্ট্যান্ডে যাওয়ার নির্ধারিত ভাড়া ৬০ টাকা থাকলেও ঈদ বকশীশের নামে ডাবল ভাড়া হিসাবে নেয়া হচ্ছে ১২০ টাকা। সিএনজি’চালিত অটোরিক্সার ভাড়া ১২০ টাকা হলেও জনপ্রতি ২শ’ টাকা থেকে ৩শ’ টাকা। এছাড়া নান্দাইল চৌরাস্তা থেকে গাজীপুর সিএনজি রিক্সার ভাড়া
নেয়া হচ্ছে জনপ্রতি ৫শ’ টাকা যেখানে ভাড়া মাত্র ২২০ টাকা। একইভাবে নান্দাইল চৌরাস্তা থেকে ভৈরব পর্যন্ত সিএনজি রিক্সার ভাড়া হিসাবে নেয়া হচ্ছে ৪শ টাকা।
নান্দাইল চৌরাস্তা থেকে কিশোরগঞ্জ সিএনজিতে ভাড়া ৩০ টাকার নেয়া হচ্ছে ৬০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত। বাস ভাড়া নিচ্ছে ২০ টাকার স্থলে ৫০ টাকা।
এমকে সুপার, শালবন, শ্যামল ছায়া, জলসিড়ি সহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহনে সিন্ডিকেট করে চলছে যাত্রীদের নিকট থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়। ৪০ টাকার বাস
ভাড়া ১০০ টাকা, সিএনজির ৬০ টাকার ভাড়া ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা। এযেন দেখার কেউ নেই। শহিদ মিয়া নামে গাজীপুরের এক যাত্রী বলেন, প্রতিবছরই এরকম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
সাধারণভাবে যেখানে ২শ’ টাকা খরচ হয়, সেখানে ঈদ উপলক্ষ্যে ৬শ’ টাকা শুধু ভাড়া বাবদ খরচ হচ্ছে। এছাড়া নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একাধিক যাত্রী জানান, আমরা নিন্ম আয়ের মানুষ। এতো টাকা ভাড়া আমরা কিভাবে দিবো ? এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। তবে কয়েকজন গাড়ি চালক জানান, বছরে মাত্র দুইটি ঈদে ঈদ বোনাস হিসাবে কয়েকটা টাকা বাড়তি
নিচ্ছি। এরপরেও গন্তব্যস্থান থেকে খালি গাড়ি নিয়ে ফিরে আসতে হয়। এতে আমাদের পোষায় না। তাই একটু বেশি নিতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে নান্দাইল চৌরাস্তা বাস ও ত্রি-হুইলার মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তারা এ বিষয়ে কথা বলতে নারাজ।
নান্দাইল উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়জুর রহমান বলেন, যাত্রীদের দুর্ভোগের কথা শুনে ঈদের আগে ও ঈদের পরে বেশ কয়েকবার অভিযান চালিয়েছি। তারপরেও বিষয়টি আবার দেখছি।
Leave a Reply