1. admin@bdchannel4.com : 𝐁𝐃 𝐂𝐡𝐚𝐧𝐧𝐞𝐥 𝟒 :
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:৪৪ পূর্বাহ্ন

কুলিয়ারচরে জুতার সূত্র ধরে ক্লুলেস হত্যাকাকাণ্ডে অভিযুক্ত দুইজনকে গ্রেফতার করে প্রশংসিত ওসি

মুহাম্মদ কাইসার হামিদ, স্টাফ রিপোর্রটার, কুলিয়ারচর, কিশোরগঞ্জ।।
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ৭ মার্চ, ২০২৫
  • ১৭০ বার পড়া হয়েছে

 

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে উবায়দুল হক পাইলট নামে এক ব্যবসায়ীকে জবাই করে হত্যাকাণ্ডের আলোচিত ঘটনার দুই সপ্তাহের মধ্যে ফেলে যাওয়া জুতার সূত্র ধরে ক্লুলেস মামলায় জড়িত সন্দেহে শাহাদৎ হোসেন (৩২) ও মো. নাঈম মিয়া (২৪) নামে ২ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে প্রশংসায় ভাসছেন কুলিয়ারচর থানার  ওসি মো. হেলাল উদ্দিন পিপিএম। 

হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থলে ফেলে যাওয়া স্যান্ডেলের সূত্র ধরে শাহাদৎকে খুনি হিসেবে সন্দেহ করে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার রাতে ওসি মো.হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে এক দল পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে শাহাদাৎ হোসেনকে তার নিজ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পরদিন ১ মার্চ শনিবার বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করলে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন অভিযুক্ত শাহাদাৎ হোসেন।

গ্রেফতার শাহাদাৎ হোসেন (৩২) কুলিয়ারচর উপজেলার বাজরা মাছিমপুর গ্রামের শেখ বাড়ির মৃত লাল মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় রং মিস্ত্রী। জবানবন্দিতে তার সাথে জড়িত থাকা আরো তিন জনের নাম বলেন শাহাদত।

গত ৫ মার্চ আবারও ওসি মো. হেলাল উদ্দিন পিপিএম এর নেতৃত্বে এক দল পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার সাথে জড়িত থাকা তিন জনের মধ্যে মো. নাঈম মিয়া (২৪) কে গ্রেফতার করে পরদিন ৬ মার্চ বৃহস্পতিবার বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করলে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে মো. নাঈম মিয়া বলেন ব্যবসায়ী উবায়দুল হক পাইলটকে জবাই করে হত্যার করার সময় তার উরাতে ও কোমরে চাপ দিয়ে ধরে রাখে সে। ঘটনার সাথে তারা ৬জন ছিলো বলে জানান তিনি। ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্য করে ব্যবসায়ী উবায়দুল হক পাইলটের গতিরোধ করার পর তাকে খুন করা হয় বলেও স্বীকারোক্তিতে উল্লেখ করেন নাঈম।

মো. নাঈম মিয়া উপজেলার পশ্চিম তারাকান্দি গ্রামের এমাদ মিয়ার ছেলে। 

পুলিশ জানান, খুনি নাঈম মিয়া একজন পেশাদার ছিনতাইকারী। তার নামে তিনটি ডাকাতি প্রস্তুতি, একটি চুরি সহ ৫টি মামলা রয়েছে। এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে ৬টি মামলা হয়েছে। তাকে গত ৫মার্চ রাতে তার নিজ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

কুলিয়ারচর থানার পুলিশ পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) খোকন চন্দ্র সরকার বলেন, মরদেহের নিচে খুনিদের কেউ তার ডান পায়ের একটি জুতা ফেলে যায়। ওই জুতাটিকে কেন্দ্র করেই খুনি চিহ্নিত করার তদন্ত শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে স্থানীয় বাজরা বাসস্ট্যান্ড ও কয়েকটি বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। ফুটেজগুলো বার বার দেখে পথচারীদের পায়ে ব্যবহৃত জুতার সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের সময় ফেলে যাওয়া জুতার সাদৃশ্য বের করা হয়। একপর্যায়ে ওই জুতা ব্যবহারকারী হিসেবে শাহাদাৎকে চিহ্নিত করে তাকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে এ ঘটনায় আরও তিনজন জড়িত ছিলো বলে  জানান। শাহাদাৎ হোসেনের তথ্য মতে মো. নাঈম মিয়াকেও গ্রেফতার করা হয়।

এ ব্যাপারে কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন পিপিএম বিডিচ্যানেলফোরকে বলেন, হত্যা মামলাটি সম্পূর্ণ একটি ক্লুলেস ঘটনা। ঘটনার পর বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আমরা মামলার প্রধান আসামি শাহাদাৎ হোসেনকে সনাক্ত ও গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। পরে তার তথ্য মতে আসামি মো. নাঈম মিয়াকে গ্রেফতার করি। হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকা বাকি আসামিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

উল্লেখ্য, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বুধবার ব্যবসায়ী ওবায়দুল হক পাইলট প্রতিদিনের মত দোকান বন্ধ করে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ির কাছাকাছি পশ্চিম তারাকান্দি এলাকায় গেলে দুর্বৃত্তরা গলা কেটে তাঁকে হত্যা করে। ঘটনার পরদিন গত ২০ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার নিহতের মা মোছা. আঙ্গুরা বেগম বাদি হয়ে কুলিয়ারচর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১০। নিহত পাইলট বাজরা মাছিমপুর গ্রামের জামাল মিয়ার ছেলে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: বাংলাদেশ হোস্টিং