পরিবেশ অধিদপ্তরের আইনকে তোয়াক্কা না করে শতবর্ষী একটি পুকুর ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ করেছে মৃত আব্দুল খালেকের ৪ ছেলে মো: জাকারিয়া, মো: এহিয়া, মো: ইলিয়াচ মো: রুবেল মিয়া। এলাকায় তারা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছেনা। যে কারণে অনেক চেষ্টা করেও থামানো যায়নি পুকুর ভরাটের এই কার্যক্রম। কিশোরগঞ্জ পৌরসভার সতাল এলাকায় আলাউদ্দিন কিন্ডারগার্টেন স্কুল ও আওলাদ মেশিনারীজ কারখানা সংলগ্ন স্থানে দেখা যায় পকুর ভরাটের এমন দৃশ্য।
জানা যায়, কিশোরগঞ্জ পৌরসভাধীন সতাল এলাকার হাজী তজিমুন নেছা নামের এক মহিলা মৃত আব্দুল খালেককে লালন পালন করে আসছিল। সেই সূত্রে তজিমুন নেছা আবদুল খালেককে প্রায় ৬০ বছর আগে ২৫ শতাংশের শতবর্ষী একটি পুকুর দান কবলা হিসেবে উইল করে দেন। পরে আব্দুল খালেক মারা যাওয়ার পর তার ৪ ছেলে পুকুরটি ভোগ দখল করে বিগত তিন বছর আগে পুকুরটি ভরাট করে প্রথমে একটি দোকান ও পরে বসবাসের জন্য বাড়ি নির্মাণ করে।
শনিবার ২২ ফেব্রুয়ারি সরেজমিনে দেখা যায়, পকুরটি কয়েকদিন আগে বালু দিয়ে প্রায় অর্ধেক ভরাট করে ফেলা হয়েছে। অপর একসাইটে তারা থাকার জন্য একটি বাড়ি নির্মাণ করছে।
এ ব্যাপারে এলাকার কয়েকজন ব্যক্তি জানান, এই পুকুরটি প্রায় শতবছরের একটি পুরোনো পুকুর। এই পুকুরটিতে দেশ স্বাধীনের আগে ধোপারা কাপড় ধুইতো। এখন তারা পুকুরটি ভরাট করে বাড়ি নির্মাণ করছে। আমাদের এখানে আশেপাশে অনেক দোকান রয়েছে। কোন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে আগে এই পকুরের পানি কাজে লাগত।েএখন পুকুরটি সম্পূর্ণ ভরাট করে ফেললে আগুন নেভানোর মত পানিও আর পাওয়া যাবেনা।
এ বিষয় পুকুরের এক মালিক মো: জাকারিয়া বলেন, আমরা এই পুকুরের উপর প্রায় ৩-৪বছর আগে বাড়ি নির্মাণ করেছি। এখন পুকুরের বাকি অংশ বালু দিয়ে ভরাট করে বাড়ি নির্মাণ করব। পরিবেশ অধিদপ্তর বাধা দিলে আমরা দেখব। আমাদের পুকুর আমরা ভরাট করবো তাতে বাধা দিতে আসলে আমরা পরিবেশ অধিদপ্তরকে প্রতিহত করবো।
এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তর কিশোরগঞ্জের সহকারী পরিচালক মো: মমিন ভূইয়া জানান, পরিবেশ অধিদপ্তরের আইনে পুকুর ভরাট দণ্ডনীয় অপরাধ। পুরানো পকুর কেউ ভরাট করে থাকলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply