ময়মনসিংহের নান্দাইলে গত শনিবার রবিবার ও সোমবার, ১৩ জানুয়ারি পরপর দুই রাতে উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের চামটা গ্রামে ও চরবেতাগৈর ইউনিয়নের চারবেতাগৈর গ্রামে অস্ত্রের মুখে পরিবারকে বেঁধে রেখে দূধর্ষ ডাকাতির দুটি ঘটনা ঘটেছে।
এ সময় অজ্ঞাত ডাকাতরা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ট্রাকে করে লুট করে নিয়ে যায়। শুধু তাই নয় ডাকাতির ঘটনা থানায় জানালে বা মামলা করলে গৃহকর্তাদের প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকী দিয়েছে ডাকাতরা।
সোমবার, ১৩ জানুয়ারি দুপুরে খবর পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ডাকাতির দুটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ বিষয়ে চামটা গ্রামের মোশারফ হোসেন কামাল বলেন, শনিবার দিবাগত গভীর রাতে তাদের বাড়িতে ডাকাতি হয়। ডাকাতরা শাবল দিয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে তাদের অস্ত্রের মূখে জিম্মি করে। এরপর ঘরের আলমিরা, ওয়ারড্রোব ভেঙ্গে নগদ প্রায় ৮ লাখ টাকা, সাড়ে ৪ ভরি স্বর্ণ ও ২২ ভরি রুপার অলঙ্কারসহ অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র লুটে নেয়। ডাকাতি চলাকালীন সময়ে পুত্রবধু সাবিকুন্নাহার কৌশলে বাড়িতে না থাকা তাঁর শ্বশুর হাসেন আলী (৬৫)কে মোবাইলে একটি কল দিলে কোন বিপদ হয়েছে কিনা তা দেখার জন্য হেঁটে হোসেন আলী ছেলের বাড়ির দিকে আসতে থাকেন। কিন্তু কাছে আসতেই বাড়ির সামনে থাকা ডাকাত দলের ২-৩ জন সদস্য তাঁকে মুখ চেপে ধরে চ্যাংদোলা করে বাড়ির ভিতরে নিয়ে একটি কক্ষে আটকে রাখে। পরে ট্রাকে জিনিসপত্র তুলে নিয়ে যায়।
এছাড়া সোমবার রাত ২টার দিকে নান্দাইল-ত্রিশাল আঞ্চলিক সড়কের পাশে অবস্থিত মিয়াজ উদ্দিনের ছেলে মৃদুল মিয়ার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে মৃদুল মিয়া জানান, ১০-১২ জনের মুখ ঢাকা একটি ডাকাতদল কৌশলে বাড়িতে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে তাকে হাত-পা বেঁধে বিছানার উপর উপুড় করে ফেলে রাখে। পাশে থাকা স্ত্রীসহ অন্যদের অস্ত্রের মূখে জিম্মি করে ঘরের বেশ কয়েকটি কক্ষে থাকা স্টিলের আলমারি-ওয়ারড্রোব ভেঙ্গে নগদ আড়াই লাখ টাকা ও সাড়ে তিন ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ১২ টি মূল্যবান কম্বলসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুটে নিয়ে যায়।
নান্দাইল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ফরিদ আহমেদ জানান, খবর পেয়ে রাতেই দুই বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সোমবার সকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরীপুর সার্কেল) দেবাশীষ কর্মকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। উভয় ডাকাতির ঘটনায় একটি টিম গঠন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে জড়িতদের গ্রেফতার এবং ডাকাতি করে নিয়ে যাওয়া মালামাল উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা শুরু করেছেন।
Leave a Reply