কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক ও উছমানপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান মামুনকে দেখতে কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে যান কুলিয়ারচরের কৃতি সন্তান কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলম সিআইপি।
শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি দুপুরে দলীয় নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে চিকিৎসাধীন মোস্তাফিজুর রহমান মামুনের শরীরের খোঁজ খবর নেন তিনি।
জানা যায়, মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় গত মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি দুপুর ১ টার দিকে মোস্তাফিজুর রহমান মামুন প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হন। মামুন উছমানপুর গ্রামের মো. মেনু মিয়ার ছেলে।
মোস্তাফিজুর রহমান মামুনের উপর প্রকাশ্যে হামলা ও মারধোরের ভিডিও তাৎক্ষণিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পরলে এলাকার বিক্ষুব্দ জনতা ওইদিন বিকালে হামলার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সোহরাফ মিয়া (৩২) নামে এক যুবককে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। পুলিশ আহত সোহরাফ মিয়াকে তাদের হেফাজতে ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। পরে ওইদিন রাতে আহত মোস্তাফিজুর রহমান মামুন বাদি হয়ে জনতার হাতে আটক একই গ্রামের সোহরাফ মিয়া (৩২)কে প্রধান আসামি করে সোহাগ মিয়া (৩৫), আবুল কাশেম (৫৮), আলী আজগর (৪৫), মো. সোহাগ মিয়া (৪৫), মো. কায়কোবাদ (৪৫), আমিরুল ইসলাম (৫০), পূর্ব গাইলকাটা গ্রামের ইমন মিয়া (২৫) ও পীরপুর গ্রামের ইসমাইল মিয়া (৩২)দের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জনের নামে কুলিয়ারচর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
অপর দিকে অভিযুক্ত সোহরাফ মিয়া চিকিৎসা নিয়ে গত ৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার পর তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে ওই দিন বিকালে কিশোরগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ।
এব্যাপারে কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন পিপিএম বিডিচ্যানেল ফোরকে বলেন, গ্রেফতার সোহরাফ মিয়া মাদক ও চুরি সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে এর আগেও তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। তদন্তে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। সে এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারি ও চুরির ঘটনার সাথে জড়িত। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর অনেক তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্তের স্বার্থে তা এখন বলা সম্ভব হচ্ছেনা। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply