
প্রিয় খাবারের মধ্যে, অনেকেই তালিকার শীর্ষে রাখেন সুস্বাদু আকর্ষণীয় খাবার কেক। কিন্তু আপনি কি জানেন যে এই সুস্বাদু খাবারে লুকানো রয়েছে কার্সিনোজেন ?
ভারতের কর্ণাটকের খাদ্য নিয়ন্ত্রক একটি প্রতিষ্ঠান বলছে, কৃত্রিম রং দিয়ে রঙ করা সব কেকই মারাত্মক কার্সিনোজেন থাকে, যা ক্যান্সার সৃষ্টিকারী।
শুধু তাই নয়, কেকটিতে যোগ করা রাসায়নিক উপাদানও । কর্ণাটক খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের একটি তদন্তে জানা গেছে, যে বিক্রেতারা কেকের আয়ু বাড়ানোর জন্য কেকের মধ্যে একটি রাসায়নিক মেশাচ্ছেন। যা শরীরে ক্যান্সার জীবাণুর বিকাশের জন্য দায়ী।
জানা গেছে, যে কর্ণাটক খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা এই গবেষণার জন্য নমুনা হিসাবে ১২টি বেকারি থেকে ২৩৫ ধরনের কেক সংগ্রহ করেন। আগস্টে নমুনা সংগ্রহের পর তিনি টানা দুই মাস পরীক্ষা করেন। বিশেষজ্ঞরা অক্টোবরে পরীক্ষার ফলাফল শেষ করেছেন।
গবেষণায় দেখা গেছে যে ২৩৫টি কেক পরীক্ষা করা হয়েছে, ২২৩টি কেক নিরাপদ পাওয়া গেছে। আর বাকি ১২টি কেকের মধ্যে ক্যান্সারের জীবানু পাওয়া গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কেকের দীর্ঘায়ু নিশ্চিত করতে কৃত্রিম রঙের কেক ও প্রিজার্ভেটিভ যুক্ত কেক যাতে ক্যানসার সৃষ্টিকারী উপাদান থাকে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্যানসারের উপাদান আছে এমন কেক খেলে শুধু শারীরিক সমস্যাই হয় না, মানসিক স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি হতে পারে।
এ বিষয়ে খাদ্য নিরাপত্তা কর্মকর্তা শ্রীনিবাস বলেন, ব্যবসায়ীরা কেক দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করতে নাইট্রেট, নাইট্রাইটের মতো রাসায়নিক ব্যবহার করেন। এই ক্ষতিকর রাসায়নিক পাকস্থলী ও অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।
শ্রীনিবাস আরও বলেন, কৃত্রিম রং যেমন রেড ভেলভেট, ব্ল্যাক ফরেস্ট, কেকে সানসেট ইয়েলো এফসিএফ, টারট্রাজিন এবং কারমোইসাইন পাওয়া গেছে। এই দূষণকারী থাইরয়েড, মূত্রাশয় এবং কিডনি ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। সঙ্গে সঙ্গে অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তাই কেক খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। অস্বাস্থ্যকর রঙিন কেকের চেয়ে সাদা এবং চকলেট কেককে প্রাধান্য দিন। এছাড়াও, বেকারিতে দীর্ঘদিন ধরে রাখা কেক কেনা এড়িয়ে চলুন।
Leave a Reply