*আদালতের দুটি ডিগ্রী পেয়েও জমি ফেরত পাচ্ছেন না
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের বরিল্যা গ্রামে আওয়ামী লীগ শাসনামলে কতিপয় সন্ত্রাসী আবুল কাসেম ও আব্দুল হাই গং কর্তৃক জোরপূর্বক দখলে নেওয়া সাফ কাওলা ১ একর ৮০ শতাংশ জমি ফেরত চান স্কুল শিক্ষক রফিক উদ্দিন। ওই জমির দখলবাজি নিয়ে আদালতে মামলা-মোকাদ্দমা হলে আদালত থেকে ওই শিক্ষক দুইটি ডিগ্রি লাভ করার পরেও আওয়ামী প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় আবুল কাশেম ও আব্দুল হাই গং জোরপূর্বক জমি দখলে রেখেছে এবং শিক্ষক পরিবারের সদস্যদেরক প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর বিকালে বরিল্যা গ্রামে নিজ বাড়িতে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন স্কুল শিক্ষক রফিক উদ্দিন। পাশাপাশি দীর্ঘ ১৭ বছর পর ওই জমি ফিরে পাবার আশায় এবং দখলবাজ-সন্ত্রাসী আবুল কাশেম গং হাত থেকে রেহাই পেতে অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের সংশ্লিষ্ট উর্ধতন প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপও কামনা করছেন শিক্ষক রফিক উদ্দিন ও তার পরিবার। কিন্তু জমি দখল ও হুমকির বিষয়টি অস্বীকার করে অভিযুক্ত আবুল কাসেম গং বলেন, বাবা-মাকে ভুল বুঝিয়ে রফিক উদ্দিন মাস্টার জমি কিনে নিয়েছে। তাই তিনি তার বাবার জমি ছেলে হিসেবে ভোগদখল করছেন।
জানা গেছে, রফিক উদ্দিন মাস্টার উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের বরিল্লা গ্রামের আবদুল মন্নাছের পুত্র ও একই ইউনিয়নের রায়পাশা উচ্চবিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক। অভিযুক্ত আবুল কাসেম ও আব্দুল হাই আচারগাও গ্রামের মৃত রিয়াছত আলী ও মৃত জরিনা খাতুনের ছেলে। ২০০৭ সালে রফিক উদ্দিন মাস্টার তার চারভাই মিলে পৃথক দলিল মূলে ১.৮০ একর আবাদি জমি ক্রয় করেন। জমি ক্রয় করার পর তিনি তিন বছর ভোগ দখল করেন। পরে ২০১০ সালে পুরো জমি রিয়াসত আলীর ছেলে আবদুল কাশেম জোর করে দখল করে নিয়ে চাষাবাদ শুরু করেন। তৎকালীন সময়ে জমিদখল করার ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলেও ইউনিয়ন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের প্রভাবে কোনো বিচার পাননি তিনি।
এছাড়া রফিক উদ্দিন মাস্টার আরও জানান, রিয়াসত আলী ঈশ্বরগঞ্জ চৌকি আদালতে তাঁর চারটি সাফকবলা দলিল পণ্ড করার দাবি জানিয়ে মোকদ্দমা দায়ের করেন। সেই মোকদ্দমাসহ পরপর দুটি মামালার ডিগ্রী প্রাপ্ত হন। পরে আদালতে হেরে আবদুল হাই ও কাশেম গং আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের মদদে ওই শিক্ষকের ১.৮০ একর ফসলি জমি জোরপূর্বক দখল করে রাখেন। শুধু তাই নয়, রফিক উদ্দিন মাস্টারকে একাধিকবার প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টাও করেছেন তারা। এ ব্যাপারে মাস্টারের ভাই চন্দু মিয়া, বকুল মিয়া, তাজুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত আবুল কাসেম ও কাসেমের পরিবারের লোকজন কতিপয় সন্ত্রাসী ও খারাপ প্রকৃতির লোক বলেই তাদের বিরুদ্ধে মার্ডার মামলা সহ একাধিক মামলা-মোকাদ্দমা রয়েছে।
Leave a Reply