কিশোরগঞ্জের ভৈরবে রেলওয়ে কর্মচারী হত্যা মামলায় নিহত মাহবুবুর রহমানের স্ত্রী ও প্রেমিককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১১টায় কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক শাম্মী হাসিনা পারভীন এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা হলেন, ভৈরব উপজেলার চন্ডিবের উত্ততপাড়া গ্রামের মো. শহিদ মিয়ার মেয়ে মোছা. রোখসানা আক্তার (২৮) এবং একই গ্রামের বাবুল আহম্মেদের ছেলে আসিফ আহম্মেদ (১৯)।
আদালতের দায়ের করা মামলার রায় সূত্রে জানা যায়, মাহবুবকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে তার স্ত্রী এবং তারই পরকিয়া প্রেমিক হত্যা করেছে, যা সাক্ষ্যপ্রমাণে প্রমাণিত হয়েছে। আদালত রায়ে বলেন, নিহত মাহবুবের তিনটি সন্তান ছিল। কিন্তু সন্তানের মায়া ত্যাগ করে জঘন্যতম হত্যাটির পরিকল্পনাকারী ছিল তার স্ত্রী রোকসানা আক্তার। এ কারণে তারা দুজনকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেয়া হলো।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়- নিহত মাহবুবুর রহমান বাংলাদেশ রেলওয়ে বিভাগে ঢাকার কমলাপুরে চাকুরি করতেন। স্ত্রী দুই বাচ্চা নিয়ে ভৈরবে তাঁর বড় ভাইয়ের বাসায় থাকতেন তার স্ত্রী রোখসানা আক্তার। মাহবুবুর প্রতি সপ্তাহে একবার স্ত্রী সন্তানের কাছে আসতেন। ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় কর্মচারি মাহবুব ভৈরবে স্ত্রী সন্তানের কাছে আসলে পরদিন সকালে বাসার ভিতর থেকে তার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরে নিহতের বড়ভাই হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে নিহত মাহবুবুর রহমানের স্ত্রী রোখসানা ও অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে ভৈরব থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েন করেন।
এ ঘটনায় ২০২০ সনের ৩০ মার্চ দুই জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করে পুলিশ। সাক্ষী প্রমাণ শেষে আদালত আজ এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এপিপি সিনিয়র অ্যাডভোকেট রাখাল চন্দ্র দাস এবং আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট অশোক সরকার।
Leave a Reply